• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান রূপকল্প বাস্তবায়নে অটিজমের শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে

বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফেরাতে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ ফিরিয়ে আনতে তৎপর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এজন্য বেড়েছে গবেষণা। এরই মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ২৪ প্রজাতির দেশি মাছ ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট। আর এ মাছগুলো সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জিন ব্যাংক। 

মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে, বিলুপ্ত হতে বসা আরও বেশ কিছু প্রজাতির মাছ শিগগিরই মানুষের পাতে উঠবে। খাল-বিল-নদীর এই দেশে শুধু মিঠা পানির মাছই প্রায় ৩শ’ প্রজাতির। এছাড়া সাগরের মাছতো আছেই। কিন্তু নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশি প্রজাতির মাছ।

এরই মধ্যে মিঠা পানির ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। তবে হারিয়ে যেতে বসা মাছগুলোকে ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট। লাইভ জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ২৪ প্রজাতির বিলুপ্ত মাছ আবার ফিরে এসেছে। 

ফিরিয়ে আনা মাছগুলো হলো: পাবদা, গোলশা, টেংরা, দেশি কৈ, শিং, মাগুর, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, মহাশোল, সরপুটি, মেনি, বালাচাটা, গুতুম, ভাগনা, খলিশা, বাটা, কাল বাউশ, গজার, গনিয়া, বৈরালি ও আঙ্গুস। 

দেশে মিঠা পানির ১৪৩ প্রজাতির ছোট মাছের সবগুলোই লাইভ জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করবে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, ১৪৩টি দেশীয় ছোট মাছ আছে আমাদের। এগুলোর সবই জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত করবো। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, কোন মাছ যদি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায় তাহলে এই জিন ব্যাংকের মাছগুলোকে ব্যবহার করে চাষাবাদের আওতায় আনবো। আর এর মাধ্যমে মাছগুলো সুরক্ষা করতে পারবো।

লাইভ জিন ব্যাংকে ৮০টি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করে রাখা আছে। তবে দেশি প্রজাতির সব মাছই রাখার পরিকল্পনা ইন্সটিটিউটের। 

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ আরও জানান, প্রায় ৮০টির মতো মাছ আমাদের কাছে আছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সকল দেশীয় মাছকে আমরা সংগ্রহ করে এখানে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করবো।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশের যেখানেই কোনো মাছ বিলুপ্তির পথে থাকবে সেখানেই লাইভ জিন ব্যাংক থেকে মাছ দেয়া হবে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা মাছের জিন ব্যাংক করেছি। বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার ভেতর থেকে এর জিন তৈরি করছি এবং সেই জিনগুলো এখন প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি। কোনও প্রজাতির মাছ কোন অঞ্চল থেকে হারিয়ে যায় আমরা এখান থেকে বাচ্চা দিয়ে দিব। এই বাচ্চা যেখানে ছাড়া হবে সেখানে বড় হয়ে যাবে।

আবার ফিরে আসা দেশি প্রজাতির এসব মাছ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে। 

বরগুনার আলো