বেণীমাধবের জন্ম, শেফালী ঘোষের প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার। ১৬ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা

১৯৫৫- যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যের মন্টেগোমারি শহরে বাসে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আসন বরাদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন রোসা পার্কস্‌।

কৃষ্ণাঙ্গদের বসার নির্ধারিত জায়গা ছিল বাসের পেছনে। কিন্তু রোসা পার্কস্‌ সামনের দিকে বসেন এবং ওই আসন ছেড়ে সরে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর থেকে একটি বছর কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দারা বাস বয়কট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের নেতৃত্বে আন্দোলনের সূচনা করে এবং জয়ী হয়।

১৯৫৯- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে বসানো ক্যামেরা দিয়ে মহাকাশ থেকে প্রথম পৃথিবীর রঙিন ছবি তোলা হয়।

১৬০০- ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাণিজ্যের চার্টার দেন।

১৯৯০- ইংলিশ চ্যানেলের ১৩২ ফুট নিচে খনন কর্মীরা পাথর কেটে একটি গাড়ি চলাচলের মতো সুড়ঙ্গ তৈরি করে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হন।

২০০২- জার্মানিতে প্রথম দ্রুতগামী ম্যাগনেটিক ট্রেনের যাত্রা।

 

জন্ম

১৪৯১- ফরাসি অভিযাত্রী জাক কার্তিয়ে। তাকে কানাডার অন্যতম আবিষ্কারক মনে করা হয়।

১৭৩৮- ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশ।

১৮৮০- নোবেলজয়ী মার্কিন রাজনীতিবিদ জর্জ মার্শাল। তিনি সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তৃতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।

১৮৮৮- ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ভারততত্ত্ববিদ, পালি ও বৌদ্ধশাস্ত্রের পণ্ডিত বেণীমাধব বড়ুয়া।

তিনিই প্রথম গবেষক, যিনি প্রাচ্যীয় পদ্ধতিতে বৌদ্ধ দর্শন ও প্রাচীন লিপি নিয়ে গবেষণা করেন। ভারতীয় দর্শন ও বৌদ্ধ দর্শন অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাকে ডি লিট উপাধি দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয় তাকে তেপিটকাচরিয় বা ত্রিপিটকাচার্য উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৪৮ সালের ২৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯১১- বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও মানবহিতৈষী ড. মোহম্মদ ইব্রাহিম।

১৯১৮- বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও গবেষক আজিজুর রহমান মল্লিক।

১৯৪৫- মার্কিন তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানী লেনার্ড এডলম্যান।

১৯৫২- বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ত্রিদিব দস্তিদার।

১৯৮৬- বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম।

 

মৃত্যু

১৯১৬- রুশ যাজক রাসপুটিন।

১৯২১- ইরানের প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মির্জা কুচাক খান জাঙ্গালি।

১৯৮৩- বাংলাদেশের ভাষাসৈনিক ও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সুলতান।

১৯৯০- বাংলাদেশের বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মণি সিংহ।

২০০৬- প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী শেফালী ঘোষ।

১৯৪৯ সালের ১১ জানুয়ারি শেফালী ঘোষের জন্ম। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেন। প্রায় পাঁচ দশকের সংগীত জীবনে তিনি প্রায় সহস্রাধিক গান গেয়েছেন। তার গাওয়া গান নিয়ে দুই শতাধিকের বেশি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রের গানেও প্লেব্যাকশিল্পী হিবেসে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টিরও বেশি দেশে সংগীত পরিবেশন করেছেন।

বরগুনার আলো