• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ভাষা আন্দোলন রূপ নেয় গণ-আন্দোলনে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

একুশে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সরকার গুলি চালায় ছাত্রদের আন্দোলনকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার জন্য। অথচ ছাত্রদের ওপরে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মতভেদ হাওয়ায় উড়ে যায়। শহিদ ছাত্রদের রক্তের দাগ শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ছাত্ররা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ভাষা আন্দোলন গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। রাজনীতির বাইরে থাকা সাধারণ ছাত্ররা দলে দলে যুক্ত হতে থাকল জমায়েতে। সরকার ও পুলিশ ভুলে গেল শহর থেকে তখনও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়নি। গুলি চালানো এবং ছাত্রজনতা হতাহতের সংবাদে ঢাকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আসতে লাগল হাসপাতালে, ব্যারাকে। শহিদদের একনজর দেখতে চায় মানুষ।

এদিকে, পরিষদ ভবনকে (বর্তমানের জগন্নাথ হল) কেন্দ্র করে তিন দিক থেকে তিনটি মাইক আগুন ঝরাচ্ছে। ‘রক্তের বদলে রক্ত’, ‘একুশের শপথ রাষ্ট্রভাষা বাংলা’, রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’ মাইকে মাইকে এসব স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত। ছাত্রদের ওপরে গুলি ও হতাহতের ঘটনায় পরিষদ ভবনেও ঝড় উঠেছে। খয়রাত হোসেন, মওলানা তর্কবাগীশসহ নির্দলীয় এবং কংগ্রেস সদস্যরা এর প্রতিবাদে পরিষদ বর্জন করেন। ধীরেন দত্ত পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন এবং মওলানা তর্কবাগীশ ছাত্রদের জমায়েতে বক্তৃতা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদের ব্যস্ততার শেষ নেই। ব্যারাক কক্ষে সবাই মিলিত হয়ে পরদিন অর্থাত্ ২২ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল, ঘরে ঘরে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, মেডিক্যাল ব্যারাক থেকে শোক মিছিল প্রভৃতি কর্মসূচি নেওয়া হয়। তবে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেল।

মোহাম্মদ সুলতান লিখেছেন, ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের অস্তিত্ব আর রইল না। সন্ধ্যা ৬টায় নতুন করে ভাষা আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের সভা বসল মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসের ৩ অথবা ৪৯ নম্বর রুমে। নতুন করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হলো। অলি আহাদ আহ্বায়ক নির্বাচিত হলেন। আন্দোলন পরিচালনার জন্য কতকগুলো কেন্দ্র ঠিক করা হলো। নতুন ঢাকার জন্য সলিমুল্লাহ হল, আর পুরান ঢাকার জন্য জগন্নাথ কলেজ আমাদের সব আন্দোলন পরিচালনার সেক্রেটারিয়েট রূপে চিহ্নিত হলো। মেডিক্যাল কলেজ, সলিমুল্লা মুসলিম হল ও জগন্নাথ কলেজ থেকে ঘোষিত হলো ২২ ফেব্রুয়ারি সব গৃহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। শহিদ ভাইয়ের মৃতদেহ ও তাদের রক্তরঞ্জিত পতাকা শোভিত মিছিল প্রথম শহিদ বরকতের গুলি লেগেছিল যেখানে সেখান থেকে বের হবে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ কর্মসূচি প্রচার হতে থাকল।’

বরগুনার আলো