• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে হাসনা বানু এখন কর্মজীবী

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০  

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ৭ নম্বর বাঘুটিয়া ইউপির বিনানুই গ্রামের শাহজাহানের স্ত্রী হাসনা বানু ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কর্মজীবী নারী।

জানা যায়, স্বামী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্ট/হাঁপানী রোগের কারণে কর্মহীন হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী থাকেন। এ সময় সংসারে কোনোরকম আয় উপার্জন না থাকায় হাসনা বানু ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিতে বাধ্য হন। 

স্বামীর ওষুধ, পথ্য, সংসারের অভাব মেটাতে বাড়ি বাড়ি হেঁটে ভিক্ষা করতে হয় তাকে। ৭ বছর আগে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা করেই কোনো রকমে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। 

২০১৬ সালে ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় এনডিপি- সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচির সদস্য হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন হাসনা বানু। 

পরবর্তীতে আয়বৃদ্ধিমূলক কাজের ওপর প্রশিক্ষণ ও তিন হাজার টাকা অনুদান পেয়ে একটি ছাগল ও চারটি মুরগি কেনেন। 

ছেলে মেয়েরা এগুলো লালন পালন করতে থাকে। আর হাসনা বানু ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে কিছু উপার্জন করতে থাকেন। ছাগলের প্রথম তিনটি বাচ্চা, দ্বিতীয়বারে আরো তিনটি বাচ্চা হয়। মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে ২০ টি মুরগি হয়। 

ছাগল ও মুরগি বিক্রি করে দশ হাজার টাকা। এছাড়া জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মেয়ের বিয়ে দেন। ছেলেও বিয়ে করে পরিবার থেকে পৃথক বসবাস করছেন। 

সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচির উন্নয়ন কর্মীদের অনুপ্রেরণায় হাসনা বানু সম্মানজনক একটি পেশায় পুনর্বাসিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। 

অবশেষে গত বছর পাঁচ হাজার টাকায় একটি সাড়ে ১২ হাত ডোঙা নৌকা কেনেন। নৌকা চালিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা উপার্জন করেন হাসনা বানু। 

এছাড়াও বিল থেকে শাপলা, শালুক, কলমী শাক, গ্রাম হতে সংগ্রহ করা পণ্য, সবজি, মৌসুমী ফল, হাঁস- মুরগি, ডিম, সংগ্রহ করে তা পার্শ্ববর্তী বিনানুই, চর-নাকালিয়া, গয়হাটা, সলিমাবাদ, তেবাড়িয়ার হাট-বাজার, ভোর বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তার সঙ্গে শাহানারা নামে একজন কর্মচারীও রেখেছেন। 

এ বছর সমাজসেবা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিধবা ভাতার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

জীবন সংগ্রামী এই হাসনা বানু ভিক্ষার ঝুলি কাঁধ থেকে নামিয়ে একটি সম্মানজনক পেশায় নিয়োজিত হয়ে ধীরে ধীরে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি এখন অনেক খুশি।

বরগুনার আলো