• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলে ইসলাম

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নারীসত্তা পূর্ণতা পায় মাতৃত্ব সত্তার মাধ্যমে। নারীরা জননীর জাতি, এটিই তাদের বড় পরিচয়। ইসলাম নারীর সম্মানকে নিরঙ্কুশ করেছে। বিশেষত ইসলামী চেতনায় মায়ের মর্যাদা মহিমান্বিত। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেশত।’ ইবনে মাজাহ, নাসায়ি। এ হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তান জান্নাতে ঠাঁই পাবে কিনা তা বহুলাংশে মায়ের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক মোমিনকে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টিবিধানে সচেষ্ট থাকতে হবে তেমন জনক-জননীর প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশ ঘটাতে হবে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদে যাওয়ার চেয়েও মায়ের সেবাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

বুখারি ও মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘এক লোক রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসুল! কোন ব্যক্তি আমার সদাচরণ ও আনুগত্য পাওয়ার সবচেয়ে বেশি অধিকারী? রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার মা। তিনি আরজ করলেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। ওই লোক আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কে? জবাব এলো তোমার মা। পুনরায় তিনি নিবেদন করলেন, তারপর কে? রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন, তোমার পিতা। তারপর পর্যায়ক্রমে যারা তোমার আপনজন।’ এ হাদিসে মায়ের সঙ্গে সদাচরণ ও আনুগত্যের জন্য তিনবার আর পিতার জন্য একবার উৎসাহিত করার কারণ হচ্ছে, সন্তানের জন্য মা-ই তুলনামূলক বেশি ত্যাগ স্বীকার করেন। গর্ভধারণ, দুধপান, রাত জেগে সন্তানের তত্ত্বাবধানসহ নানাবিধ কষ্ট একমাত্র মা-ই সহ্য করেন। তা ছাড়া সন্তানের প্রতি মা-ই সবচেয়ে বেশি যতœবান এবং বেশি আদর-সোহাগ করেন।

একবার হজরত ইবনে ওমর (রা.) দেখতে পেলেন, এক লোক তার মাকে পিঠে নিয়ে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করছেন। একপর্যায়ে সেই লোকটি জিজ্ঞাসা করলেন, হে ইবনে ওমর! আপনি কি মনে করেন আমি মাকে নিয়ে এভাবে তাওয়াফ করায় তাঁর কিছু ঋণ পরিশোধ করতে পারলাম? ইবনে ওমর (রা.) বললেন, তোমাকে গর্ভে ধারণ করাকালে নানাবিধ যাতনার একটির ঋণও শোধ করতে পারোনি। তবে তুমি ভালো কাজ করছ, তোমার এ অল্প কাজেই আল্লাহ তোমাকে বহু পুণ্য দেবেন। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘চার শ্রেণির লোককে আল্লাহ কখনই বেহেশতে প্রবেশ করতে দেবেন না, আর জান্নাতের নিয়ামতরাজির স্বাদ নেওয়ারও সুযোগ দেবেন না। ১. মাদকাসক্ত ২. সুদখোর ৩. এতিমের মাল আত্মসাৎকারী ৪. পিতা-মাতার অবাধ্যচারী। তবে তারা তওবা করলে ভিন্ন কথা।’ হাকেম।

বরগুনার আলো