যা আছে অভিন্ন নীতিমালায় !
সম্প্রতি ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই নীতিমালার প্রতিবাদ জানিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন সংস্কারের কথা। ইতোমধ্যে নীতিমালা কিছুটা পরিমার্জন করে মতামত চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মতে, শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়ে সবার মতামত নিয়েই নীতিমালাটি চূড়ান্ত হবে বলে তারা আশা করছেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রায় চূড়ান্ত করা খসড়াটি ওয়েবসাইটে দিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকলের মতামত চেয়েছে ইউজিসি।
শিক্ষক নিয়োগের জন্য সাধারণ নিয়মাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রভাষক হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা। এরপর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
শর্তে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ-৪.৫০ থাকতে হবে। কলা অনুষদ ভুক্ত চারুকলা, সঙ্গীত ও নাট্যকলা বিষয়সমূহে প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান উভয় পরীক্ষায় যৌথভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পর্যায়ে জিপিএ-৩ এর কম থাকতে পারবে না।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা সমমান পরীক্ষায় পাসকৃত আবেদনকারীকে মাধ্যমিক বা সমমান এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা সমমান উভয় পরীক্ষায় সর্বমোট জিপিএ-৯ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ-৮ থাকতে হবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।
আবেদনের সময় প্রার্থীকে অবশ্যই ডিগ্রিপ্রাপ্ত হতে হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার ফল প্রকাশ অপেক্ষমাণ থাকলে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। অনলাইন ও দূর শিক্ষণের মাধ্যমে ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা যাবে না।
সক্রিয় শিক্ষকতা বলতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অথবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত পূর্ণ বেতনে শিক্ষা ছুটির সময়কালকে বোঝাবে যদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অর্জিত ডিগ্রি সম্পন্ন করে কাজে যোগদান করেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সক্রিয় শিক্ষকতার চাকরি কাল হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানের চাকরির অর্ধেক সময়কাল বিবেচনা করা যেতে পারে।
শিক্ষা ছুটি নিয়ে কোনো শিক্ষক পোস্ট-ডক্টরল ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করলে সর্বোচ্চ দুই বছর সক্রিয় শিক্ষাকাল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এ সুযোগ কেবলমাত্র একবার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এর আগে প্রদেয় বন্ড পিরিয়ড অতিক্রান্ত হওয়ার পর পোস্ট-ডক্টরল ফেলোশিপ প্রোগ্রামে যেতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা ছুটি বলতে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে মঞ্জুরকৃত পূর্ণ বেতনে ছুটিকে বোঝাবে। এ দু’টি মাস্টার্স ও পিএইচডিসহ সর্বমোট পাঁচ বছর হবে। তবে শুধুমাত্র পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ চার বছর শিক্ষা ছুটি পাওয়া যাবে। বিনা বেতনে বা লিয়েনে বা এক্সট্রাঅর্ডিনারি ছুটিকে সক্রিয় শিক্ষাকাল বলে বিবেচনা করা হবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, আর্কিটেকচার, চারুকলা, নাট্যকলা, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ, সঙ্গীত, নৃত্য, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান আয়োজিত প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী ও পরিবেশনায় অংশগ্রহণ পূর্বক প্রযোজনা, উপস্থাপনা ও রচনার জন্য অর্জিত পুরস্কার বা ক্যাটালগ বা সার্টিফিকেট মূল্যায়ন সাপেক্ষে প্রকাশনা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকরা বর্তমানে যে পদে কর্মরত আছেন, শুধুমাত্র ওই পদের পরবর্তী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিথিল করা যাবে (মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত)।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্তদের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এ নির্দেশিকা প্রজ্ঞাপিত হওয়ার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ করা যাবে। তবে দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক নিয়োগ করতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগের কোনো ধাপে নিয়মিত পদ সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হলে আপগ্রেডেশন করা যাবে। যেহেতু গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদোন্নতি হিসেবে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিবেচিত সেহেতু গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ অধ্যাপক পদে সরাসরি নিয়োগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
অতিথি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে, ইউজিসির অনুমতিক্রমে দেশি-বিদেশি প্রতিথযশা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চুক্তি ভিত্তিতে ডিসটিংগুয়েসড প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ করতে পারবেন। বিশেষায়িত বিষয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসির অনুমতিক্রমে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে শিক্ষকতার বিভিন্ন ধাপে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা যাবে।
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণে গড়ে ওঠা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম এক বিবৃতিতে এই নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফোরাম থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী। অভিন্ন নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানরক্ষা ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি কালাকানুন হতে যাচ্ছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তাদের দাবি, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষকদের মান ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট পদে শিক্ষক নিয়োগের শর্ত ঠিক করবে। অভিন্ন নীতিমালা না করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার মাধ্যমে একটি যুগোপযোগী বাস্তব নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে তারা শিক্ষকদের মান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই মিলে চাপ সৃষ্টি করায় নতুনভাবে এই খসড়া দেওয়া হয়েছে। কারো যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিক বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সভা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সভায় সবাই মতামত দেবেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি থেকে নীতিমালায় মতামত দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছে। তাদের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত নীতিমালা হবে।’
বরগুনার আলো- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিলেন নান্নু
- সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, তিনজন খালাস
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নত ও আধুনিক বরিশাল গড়ার আহ্বান
- ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য ইমাম হাসান আটক
- বরিশালে যৌথ অভিযানে ৪৩ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৪
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণায় গুরুত্বারোপ ইউজিসির
- আমতলীতে আবারো মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- বেইলি রোডে অগ্নিকান্ড কবলিত ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় হতাশ
- পাহাড়ের বুকে সড়ক, যোগাযোগের নতুন মাইলফলক
- দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ
- শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- ছাব্বিশে পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ