• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

যাদের নামাজ কবুল হবে না বলেছেন বিশ্বনবি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২০  

ঈমানের পর নামাজ হলো ইসলামের প্রধান ইবাদত। আল্লাহ তাআলা মানুষে উপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ বা আবশ্যক করেছেন। আর এ নামাজকে যথাসময়ে আদায় করাও আবশ্যক করেছেন। আবার কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়াকে কুফরি কাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

অথচ এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আল্লাহর হুকুম পালনে নামাজ আদায় করেন ঠিকই কিন্তু তাদের নামাজ কবুল হয় না। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রকম ৩ শ্রেণির ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির নামাজ তাদের কান অতিক্রম করে না-
>> পলাতক ক্রীতদাস; যতক্ষণ না সে ফিরে আসে।
>>এমন স্ত্রী; যার স্বামী তার উপর রাগ অবস্থায় রাত কাটিয়েছে। এবং
>> ওই ইমাম; যাকে লোকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিজি)

>> গনককে হাত দেখালে
নিজের জীবনের ভালো-মন্দ জানার আগ্রহ নিয়ে কোনো গনককে হাত দেখালেও ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না। আর যদি গনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তবে ওই ব্যক্তি ঈমানহীন হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে গিয়ে কোনো (ভূত কিংবা ভবিষ্যৎ ভালো-মন্দ বা অদৃশ্য) বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না।’ (মুসলিম)

- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে তার দেয়া তথ্যকে সত্য মনে (বিশ্বাস) করলো, ওই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ কুরআনের প্রতি কুফরি করলো।’ (মুসনাদে আহমদ)

>> মদ পানকারী
কোনো মুসলিম যদি মদ পান করেন তবে তারও ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না বলে হাদিসে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি মদ পান করবে, আল্লাহ ওই ব্যক্তির ৪০ দিনেরনামাজ কবুল করবেন না।’ (নাসাঈ)

>> যারা নামাজের হক আদায় করে না
নামাজ পড়ার সময় যারা নামাজের প্রতিটি রোকন তথা রুকু-সেজদা যথাযথ আদায় করে না, তাদের নামাজও হয় না। হাদিসে এসেছে-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হে মুসলিমরা! ওই ব্যক্তির নামাজ হয় না; যে ব্যক্তি রুকু ও সেজদায় নিজেদের পিঠ সোজা করে না।’ (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ)

- অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ ওই বান্দার নামাজের দিকে তাকিয়েও দেখেন না, যে রুকূ ও সেজদার সময় নিজেদের পিঠকে (রুকু-সেজদা থেকে উঠে) সোজা করে না।’ (মুসনাদে আহমদ)

আজান শুনে জামাআতে অবহেলাকারী
যে ব্যক্তি আজান শোনার পর বিনা ওজরে মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করে তার নামাজও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে-
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শোনার পরও মসজিদে জামাআতে এসে নামাজ আদায় করে না। কোনো ওজর না থাকলে ওই ব্যক্তির নামাজও কবুল হয় না।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

এছাড়াও যাদের নামাজ হয় না বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলো-
>> ‘সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে গমনকারী নারী। ওই নারী নাপাকির গোসলের ন্যয় উত্তমভাবে গোসল না করলে তার নামাজও কবুল হয় না ‘ (ইবনে মাজাহ)
>> মা-বাবার অবাধ্য সন্তানের নামাজও কবুল হয় না।
>> দান করার পর দানের কথা গর্ভের সঙ্গে প্রচার করা ব্যক্তির নামাজ হয় না।
>> যে ব্যক্তি তকদিরকে অস্বীকার করে।
>> পরের বাপকে যে নিজের বাপ বলে দাবী করা ব্যক্তির নামাজও কবুল হয় না।’ (বুখারি-মুসলিম)
>> কোনো মুসলিমকে হত্যা করে এবং তাতে গর্ববোধ করে আর খুশি হয়, ওই ব্যক্তি নামাজ কবুল হয় না।’
>> কেসাসের বিধান বাস্তবায়নে অর্থাৎ খুনের বদলে খুনের বদলা নিতে যে ব্যক্তি (শাসন কর্তৃপক্ষ বা বিচারককে) বাধা দেয়। ওই ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ)
>> যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার নামাজ কবুল হয় না।’ (বুখারি-মুসলিম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা। হাদিসে ঘোষিত উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে নিজেদের হেফাজত করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। যথাযথভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো