রপ্তানির পাশাপাশি এখন দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টাইগার চিংড়ি
নতুন প্রজাতির চিংড়ি, বাঘের গায়ের চামড়ার মতো ডোরাকাটা তাই নাম টাইগার চিংড়ি। বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা থেকে রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে টাইগার চিংড়ি তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দুবাই, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি এখন স্থানীয় বাজারেও ব্যাপকভাবে বাড়ছে এ চিংড়ির চাহিদা।
তাজমহল নামের বরগুনার একটি চাইনিজ রেস্তোরার মালিক রিজন তালুকদার বাসসকে জানান, গত কয়েক বছরে উপকূলীয় মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নতুন এই প্রজাতির চিংড়িটি। দামে তুলনামূলক দারুন সস্তা। বাগদা, চামু, মটকা বা অন্যান্য পরিচিত ছোট চিংড়ির দামের চারভাগের একভাগ মাত্র। এ চিংড়ির স্যুপ খুবই সুস্বাদু। অনেক আগে থেকেই বিদেশে রপ্তানী হওয়া টাইগার ইদানিং সাধারণ মানুষের কাছেও ব্যাপক চাহিদার হয়ে উঠেছে।
জেলে ও বিক্রেতারা জানান, দেখতে অবিকল ছোট সাইজের বাগদা চিংড়ির মতো, আসলে কিন্তু বাগদা চিংড়ি নয়। বাঘের গায়ের চামড়ার মতো ডোরাকাটা। অনেকটা খয়েরি-লালচে রঙের। তাই বলা হয় টাইগার চিংড়ি। জেলেরা লাল চিংড়িও বলে থাকেন। মহিপুর আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী জানান, স্থানীয় বাজারে এই টাইগার চিংড়ির বড় সাইজ গড়ে বিক্রি হয় দেড়শ থেকে দুশো টাকায়; যেখানে সাধারন কুঁচো (ছোট) চিংড়ির দর সাড়ে চারশ থেকে ছয়শ টাকা পর্যন্ত। তাই ক্রেতাদের প্রতিদিনের বাজার তালিকায় থাকছে টাইগার চিংড়ি।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা জগদিশ বসু জানিয়েছেন, সাগর কিংবা নদীতে পানি যখন লোনা থাকে, তখন এই চিংড়ির জন্ম হয়। আবার পানি মিঠা হলেই কমে যায়। জেলেদের মতে মাছগুলো মরে যায়। অনেক জেলেরা আবার বলেছেন, মিঠা পানিতে গভীর সাগরে চলে যায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জানান, এই চিংড়ির ইংরেজি নাম টাইগার, বৈজ্ঞানিক নাম পেনাস মনোডন। প্রাপ্তবয়ষ্ক একটি চিংড়ির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩৩ সেন্টিমিটার হতে পারে। এই চিংড়ি উপকূলীয় ও মোহনা সংলগ্ন এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। এরা বেশির ভাগ সময় ২০-৫০ মিটার পানির গভীরতায় চলাচল করে। এই চিংড়ি সামুদ্রিক হওয়ায় এটি পুষ্টিকর।
জেলেরা জানান, প্রধানত পৌষ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত সাগর কিংবা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত জেলে টাইগার চিংড়ি আহরণ করে। টাইগার চিংড়ি আহরণের জাল অন্য জালের চেয়ে ভিন্ন। জালগুলো পাশে ১২ হাত, লম্বায় দুই হাজার হাত বা তার বেশিও হয়ে থাকে। জালের পাশাপাশি টাইগার চিংড়ি শিকারে প্রয়োজন হয় গ্রাফি (এ্যাংকর), দঁড়ি (রশি) এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা। এ জালে চিংড়ি ছাড়া অন্য কোনো মাছ আটকায় না। জালগুলো সাগর কিংবা নদীর মাটির খুব কাছাকাছি ফেলা হয়। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সাগর ও নদীতে স্রোত বেশি থাকে, চিংড়িগুলো বেশি ধরা পড়ে।
বরগুনা ও পটুয়াখালী উপকূল অঞ্চলের অন্তত ১২ হাজার জেলে পরিবারের চার থেকে পাঁচ মাসের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে টাইগারকে ঘিরে। স্থানীয়ভাবে সাগর কিংবা মোহনা এলাকায় নির্দিষ্ট জাল পেতে জেলেরা টাইগার চিংড়ি আহরণ করে। আড়তে বিক্রির পরে চিংড়ির মাথা আলাদা করা হয় দেহ থেকে। এ কাজে শ্রম দিচ্ছে জেলে পরিবারের দরিদ্র মহিলা, শিশু ও জেলে শ্রমিকরা। মৌসুমের প্রায় চারমাস প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এসব মানুষের কাজ জোটে টাইগার চিংড়িকে কেন্দ্র করে। কয়েকশ শ্রমিক পায় চিংড়ির মাথা ছাড়ানোর কাজ। এরসঙ্গে জড়িতরা এ কাজকে বলেন চিংড়ির মাথা ভাঙ্গার কাজ। জেলে, আড়তমালিক ও শ্রমিকের বাণিজ্যিক ভাষ্য, চিংড়ি ’হেডলেস’ করার কাজ। স্থানীয় আড়তদার, ব্যবসায়ীরা জানান, টাইগার চিংড়ি বিদেশে রফতানি হয়।
পটুয়াখালীর নেভাল সি ফুডস লিমিটেডের মালিক গাজী দেলোয়ার হোসেন জানান, বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার টাইগার বিক্রি হয়, চালান দেয়া হয় খুলনা, চট্টগ্রাম, যশোরসহ বিভিন্ন মোকামে। সেই মোকাম থেকে টাইগার চিংড়ি চলে যায় খুলনা, চট্টগ্রাম, যশোর ও পটুয়াখালীর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কিংবা কারখানায়। সেখান থেকে যথাযথ মান বজায় রেখে প্যাকেটজাত করে মংলা বন্দর থেকে নৌপথে তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দুবাই, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখন স্থানীয় বাজারেও ব্যাপকভাবে বাড়ছে এ চিংড়ির চাহিদা।
বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম জানান, টাইগার বাছাই কাজের সুবিধার জন্য ভিন্ন-ভিন্ন স্থান ও শেড করা জরুরি। টাইগার চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে আরো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বরগুনার আলো- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট