• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রাখাইনে সেনা অভিযান মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়: সু চি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

 


২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে চালানো সেনা অভিযানকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি  করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইজেসি) গাম্বিয়ার দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে আত্মপক্ষ সমর্থনে এসব কথা বলেন সু চি। 

এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে উঠে সু চি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও গণহত্যার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। রাখাইনে সেনা অভিযানের পেছনে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহিংসতাকে দায়ী করেন। 

আদালতে রাখাইনের মানচিত্রের ছবি তুলে ধরে সু চি বলেন, ২০১৬ সালের শেষের দিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গোষ্ঠী রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালায়। এতে দেশটির এর প্রতিক্রিয়াতেই ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। 

রাখাইন পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ অভিহিত করে ও সেনা অভিযানের পক্ষে সাফাই গেয়ে মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, ওই অভিযান ছিল মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের’ জেরে। 

অবশ্য সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করেন সু চি। কিন্তু গাম্বিয়ার গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, গাম্বিয়া রাখাইনের বাস্তব পরিস্থতির অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরেছে। সেনা অভিযানের ক্ষেত্রে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ একমাত্র ব্যাখ্যা হতে পারে না।  

সু চি বলেন, যেখানে রাষ্ট্র এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, দোষী সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ও শাস্তি দিচ্ছে, তা কী করে গণহত্যার উদ্দেশ্যে হতে পারে? যদিও এখন পর্যন্ত শুধু দোষী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, এ ব্যাপারে পরবর্তীতে দোষী বেসামরিক নাগরিকদেরও বিচার করা হবে। 

এদিকে আদালতে রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকারের কারণে এরই মাঝে বিশ্বব্যাপী সু চির সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) এ মামলায় এবারের মতো তৃতীয় ও শেষ দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এতে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়পক্ষই একে ওপরের যুক্তিখণ্ডন ও আরও কিছু বলার থাকলে তা তুলে ধরবে। 

চলতি বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গতকাল (মঙ্গলবার) প্রথম দিনের শুনানিতে জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার বিচারকাজ শুরুর দাবি জানায় তারা। রোহিঙ্গারা যেন আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতেও আদালতকে অনুরোধ জানায় গাম্বিয়া। 

এ মামলার পরও ন্যায়বিচার পেতে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে রোহিঙ্গাদের। চূড়ান্ত রায় দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বছরের পর বছর সময় নেন। কিন্তু আদালত চাইলে যে কোনো ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারেন। মিয়ানমারের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। 

গাম্বিয়ার করা এ মামলার সূত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তেমনই কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নতুন করে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশটি। 

বরগুনার আলো