রেকটাম ক্যান্সারের স্ট্র্যাপলিং চিকিৎসা
পরিপাকতন্ত্রের শেষ অংশটুকুকে আমরা বলি রেকটাম বা মলাশয় ও মলদ্বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় ও এর উপসর্গগুলো প্রায় এক রকম। রোগীর কথা শোনে কখনও রোগ নির্ণয় করা যায় না।
যেমন- মলদ্বারে রক্ত যায় যেসব রোগে তার মধ্যে রয়েছে পাইলস, এনাল ফিশার, রেকটাম ক্যান্সার, ফিস্টুলা, পলিপ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ডাইভাটিকুলোসিস, কোলাইটিস, রক্ত আমাশয় ইত্যাদি। বিশেষ ধরনের অ্যান্ডোসকোপি পরীক্ষা ছাড়া কোনো ডাক্তারের পক্ষে এগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়। রেকটাম ক্যান্সারের উপসর্গ হচ্ছে পায়খানায় রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে ডায়রিয়া আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, খুব সকালে মলত্যাগের বেগ হয়, পেটে ব্যথা হয় এবং পেট ফাঁপা দিয়ে ফুলে উঠতে পারে।
দীর্ঘদিন থাকলে মলদ্বারে ব্যথা এবং প্রস্রাবে অসুবিধা হতে পারে। মলের সঙ্গে আম বা মিউকাস যায় কোনো কোনো সময়। এ ক্যান্সার চিকিৎসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হল এটিকে পাইলস বা আমাশয় মনে করা, গ্রাম্য ডাক্তার, কবিরাজ ও হোমিও চিকিৎসায় গ্যারান্টি সহকারে ক্যান্সার নির্মূলের আশ্বাস, মহিলারা এ জাতীয় সমস্যা কাউকে বলতে বিব্রতবোধ করেন, অপারেশন ভীতি এবং পেটে কলোস্টমি করে ব্যাগ লাগাতে হবে এ ভয়ে।
রেকটাম ক্যান্সার রোগীদের জন্য সুখবর এবং আশার কথা এই যে, যে কারণে আগে রোগীরা অপারেশন করতে রাজি হতেন না তা হল পেটে স্থায়ী কলোস্টমি করা।
ইতিমধ্যেই দেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে কলোস্টমি ছাড়া এ অপারেশন সফলভাবে সম্পাদন করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তিতে দুটি যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় যা কিছুটা ব্যয়বহুল এবং একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে এখন ৭০-৮০ শতাংশ রেকটাম ক্যান্সার রোগী উপকৃত হচ্ছেন। রোগীরা যদি সচেতন হন এবং খুব আগেভাগে আসেন তাহলে খুবই কমসংখ্যক রোগীর কলোস্টমি করতে হবে। ইতিমধ্যে বহু ক্যান্সার রোগী দেখেছি যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন।
একজন রোগীর বয়স ৫৫ বছর। বাড়ি নওগাঁ। ক্যান্সার বেড়ে গিয়ে মলদ্বারে বড় বড় গোটা হয়েছে। রক্ত মাত্র ২৮ শতাংশ। তার স্ত্রী জানালেন, বিগত তিন বছর ধরে বসে ভাত খেতে পারেন না। তারপরও কত বললাম অপারেশন করতে; কিন্তু তিনি ভয়ে রাজি না। বলেন, কবিরাজ বলেছে ভালো হয়ে যাবে। যা হোক, অপারেশনের পর এখন তিনি বসে ভাত খেতে পারছেন। হয়েছেন সম্পূর্ণ সুস্থ।
অন্য একজন অল্পবয়সী রোগী এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে,আত্মীয়-স্বজন তাকে কাঁধে করে নিয়ে এসেছেন। গায়ে রক্ত নেই, অসম্ভব শুকিয়ে গেছে, সারা শরীরে হাড্ডি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। কিছুদিন আগে শুধু কলোস্টমি করা হয়েছে। আসলে ক্যান্সার রয়ে গেছে। মলদ্বারে তিনটি ফিস্টুলা দিয়ে অনবরত ময়লা পড়ছে। কলোস্টমির মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু মুখে দিলেই পেট ফুলে যায়। অপারেশন করতে অনুরোধ করলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখলাম, অপারেশনের সম্পূর্ণ অযোগ্য।
অতঃপর বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে রোগীর বিশেষ অনুরোধে অপারেশন করে ক্যান্সারটি অপসারণ করি। এক্ষেত্রে তাকে অজ্ঞান না করেই অপারেশন করি, তবে পেট ও নিচের অংশ অবশ করা হয়। অপারেশনের পর রোগী ভালোভাবে খেতে পারছেন। ক্যান্সারটি অপসারণ করায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং রোগী বেশ খুশি হন। পুরনো ক্যান্সারে রোগী সাধারণত কয়েক বছরের বেশি বাঁচেন না। কিন্তু অপারেশনের পর যতদিন বাঁচেন ততদিন অনেকটা আরামে থাকেন।
অপারেশন করে ক্যান্সারটি অপসারণ না করলে রোগী বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন, যেমন গভীর রক্ত শূন্যতা এমনকি হঠাৎ বেশি রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যেতে পারেন।
মলদ্বার, কোমর পায়ে অনবরত ব্যথা, প্রস্রাবের অসুবিধা, মহিলাদের যোনিপথ দিয়ে রক্ত ও মল বের হওয়া, খেতে না পেরে শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে যাওয়া, পেট ফুলে উঠা, পায়খানা করতে না পারা, কিডনি অকেজো হওয়া, লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি। রেকটাম ও মলদ্বারের বিশেষজ্ঞদের মতে, রেকটাম ক্যান্সার যত পুরাতনই হোক অপারেশন করতে হবে।
এমনকি যদি ক্যান্সার লিভারে ছড়িয়ে গিয়ে থাকে অথবা যদি এমন মনে হয় যে, রোগী কয়েক মাসের বেশি বাঁচবেন না তবুও অপারেশন করতে হবে। তাতে রোগী যতদিন বেঁচে থাকেন আরামে থাকবেন এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন। অপারেশনের পরে রোগী কতদিন বেঁচে থাকবেন এ ব্যাপারটি আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।
তবে ক্যান্সার লিভারে ছড়িয়ে গেলে তারপর অপারেশন করলেও অনেক রোগী ৩-৪ বছর বেঁচে থাকেন। অন্যদিকে যখন ক্যান্সার শুধু রেকটামে সীমাবদ্ধ থাকে তখন অপারেশন করলে ৯৩ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যান।
রেকটাম ক্যান্সার শুরুতে ধরা পড়লে অপারেশনের ফলাফল খুবই ভালো। দেরিতে ধরা পড়লে অপারেশনের পর ক্ষেত্রভেদে রেডিও থেরাপি বা কেমোথেরাপি দেয়া যায়। আমি রোগীদের অনুরোধ করতে চাই, সবকিছুকে পাইলস মনে করে বসে থাকবেন না।
বরগুনার আলো- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিলেন নান্নু
- সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, তিনজন খালাস
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নত ও আধুনিক বরিশাল গড়ার আহ্বান
- ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য ইমাম হাসান আটক
- বরিশালে যৌথ অভিযানে ৪৩ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৪
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণায় গুরুত্বারোপ ইউজিসির
- আমতলীতে আবারো মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- বেইলি রোডে অগ্নিকান্ড কবলিত ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় হতাশ
- পাহাড়ের বুকে সড়ক, যোগাযোগের নতুন মাইলফলক
- দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ
- শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- ছাব্বিশে পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ