লোগোতে বঙ্গবন্ধুর হাসিমুখ ফোটানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ- সব্যসাচী
বঙ্গবন্ধু নামটি উচ্চারিত হলে একদিকে চোখের সামনে শত্রুকে হাত উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি, দৃপ্তকণ্ঠে ‘মাই পিপল’ কিংবা শক্ত চোয়ালে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বিশালদেহী নেতার চেহারা মানসপটে ভেসে ওঠে, আরেকদিকে তার সহাস্য স্নেহময় মুখও আমাদের চিরচেনা। বঙ্গবন্ধুর এই চির আপন দুই ইমেজের মাঝে কোনটিকে বেছে নেওয়া হবে তার শতবর্ষ উদযাপনে, সেটাই ছিল প্রশ্ন। এরপর অনেক বিবেচনা শেষে ঠিক হয়, স্বাধীন সোনার বাংলার আপামর মানুষের অর্জন শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর হাসিমুখটাই সবচেয়ে সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর হাস্যোজ্জ্বল প্রতিকৃতিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আর লোগোর ছবিটি নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজেই।
কথাগুলো বলছিলেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা, যিনি এই ঐতিহাসিক উদযাপনে বছরজুড়ে যে লোগো ব্যবহার হবে সেটির শিল্পী। লোগো তৈরির সময়, ভাবনা এবং প্রক্রিয়া নিয়ে তার সাথে আলোচনা।
লোগোটি বানাতে গিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
সব্যসাচী হাজরা: বঙ্গবন্ধুর হাসিমাখা মুখটা ফুটিয়ে তোলা। শুরুর গল্পটা বললে বুঝতে সুবিধা হবে। বঙ্গবন্ধুর হাসিমুখের উপস্থিতি সকলেই আশা করছিলেন। যে ছবিটি চূড়ান্ত করা হয় সেখানে কোনও এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার মাঝে বঙ্গবন্ধু একপাশে তাকিয়ে কারও সঙ্গে চোখাচোখি করে হাসছিলেন, স্বতঃস্ফূর্ত হাসি। উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে হাসিমুখের এই ছবিটি নিয়েই আমাকে কাজ করতে বলা হয়। এই ছবিটি খুব সুন্দর হলেও ততটা পরিচিত নয়। রেজুলেশন কম থাকায় রূপান্তরিত করার জন্য একে লাইন ধরে ধরে কাজ করতে হয়েছে।
তারপর সেখান থেকেই এটি হলো?
সব্যসাচী হাজরা: না, এত সহজও ছিল না। আমি মিনিমাম লাইনে আঁকতে চেয়েছি। সঙ্গে কালার গ্রেডিয়েশনও আছে। আবার অক্ষর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৬০/৭০ দশকের সংবাদপত্রে ব্যবহৃত শিরোনামের ব্লকের যে ধরন সেখান থেকে ফন্ট তৈরি করা হয়েছে। অনেক ফন্ট দিয়ে ‘মুজিব’ লিখে দেখেছি, শেখ মুজিবকে অন্য কোনও ফন্ট দিয়ে ঠিক ধরা যায় না। হাতে লিখলে হয়তো নান্দনিক হবে কিন্তু শেখ মুজিবকে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা যাবে না। কেবল হাসিটা আসছে না বলেই এক সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়েছে। যে হাসিটা সেটা ভীষণ স্বতঃস্ফূর্ত, এই হাসিটাই প্রয়োজন। অনুজপ্রতিম শিল্পী আরাফাত যত্ন করে রেখার আঁচড়ে হাসিটি ফুটিয়ে তোলেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন শ্রদ্ধাভাজন শিল্পী ও সংশ্লিষ্ট অনেকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
লোগো ব্যবহারে এত নিয়ম কেন?
সব্যসাচী হাজরা: নিয়মটা দরকার। লোগোর ব্যবহারে যেন নান্দনিক উপস্থাপন নিশ্চিত হয় সে কারণে কিছু নির্দেশনা জরুরি ছিল, যা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেকোনও লোগো তৈরির ক্ষেত্রে কতগুলো কারিগরি বিবেচনা মাথায় রাখতে হয়। উদযাপন কমিটির পরিকল্পনাটি ছিল এরকম—এই লোগোটি সবচেয়ে বড় আকারে বিমান ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে কোটপিনের মতো ছোট পরিসরে পর্যন্ত ব্যবহার করা হবে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডে কিংবা বহুবার পুনর্মুদ্রণ করা হলেও লোগোর মূল ডিজাইন যেন অটুট থাকে, তেমন একটি কম্পোজিশনই আমাদের তৈরি করতে হয়েছে। রঙটাও আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা।
যখন কাজটা ধরলেন তখন কী ভাবছিলেন? প্রস্তুতির জন্য কী করছিলেন?
সব্যসাচী হাজরা: তখন অলরেডি পোস্টারের কাজ হচ্ছিলো। কেন্দ্র থেকে সারাদেশে পোস্টার যাবে। নামি শিল্পীরা কাজ করছেন। কিন্তু যখন কিনা লোগোটা করার ব্যাপার এলো তখন বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়ালো। বঙ্গবন্ধু বিতর্কের ঊর্ধ্বে একজন মানুষ এবং সকল বাঙালির মনে তার একটি স্বতন্ত্র ছবি তৈরি হয়ে আছে। সে ছবি অনেক আবেগের। আমি ’৭১ দেখিনি, ’৭৫ দেখিনি, এসব সময় পার করে আমার জন্ম। এই কাজটি আমার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানানোর একটি দুর্লভ সুযোগ বলে মনে হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক শিল্পী কাজ করেছেন। এই কাজের আগে সবার কাজগুলোই আমি খুব যত্ন নিয়ে দেখছিলাম। অবচেতনে তাদের কাজের একটা প্রভাব আমার ওপর অবশ্যই ছিল।
রঙের ব্যবহারটার আলাদা অর্থ আছে কি?
সব্যসাচী হাজরা: নিশ্চয়ই। পোট্রেটের মধ্যে একটা গ্রেডিয়েন্ট আছে, অনেকগুলো কালার মিশিয়ে ছোপ ফেললে যেমনটা হয়। শুধু কালোর ব্যবহারে শোক মনে হয়, উদযাপনটা আসে না। আর অক্ষর বিন্যাসে ৬০-৭০-এর দশকে সংবাদপত্রে ব্যবহৃত অক্ষর, লাল কালোতে। লালটা আন্দোলন-সংগ্রামের চিহ্ন বহন করে। সোনালি দিয়ে হানড্রেড লেখা হয়েছে উদযাপনের আমেজ আনতে। এতদিন লোগো এঁকেছি নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য, কিন্তু এটাতো ১৬ কোটি মানুষের জন্য। এ কারণেই লোগোতে সর্বজনীন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক বাঙালির কাছে অনেক বেশি আপন, অনেক বেশি নিজের। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের আইকনিক কাজ করা এ কারণেই অনেক বেশি সহজ, একইসঙ্গে অনেক বেশি কঠিন। কাজটি করতে গিয়ে আমি অনেকটাই আগেবপ্রবণ ছিলাম এবং আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করেছি।
বরগুনার আলো- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিলেন নান্নু
- সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, তিনজন খালাস
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নত ও আধুনিক বরিশাল গড়ার আহ্বান
- ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য ইমাম হাসান আটক
- বরিশালে যৌথ অভিযানে ৪৩ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৪
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণায় গুরুত্বারোপ ইউজিসির
- আমতলীতে আবারো মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- বেইলি রোডে অগ্নিকান্ড কবলিত ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় হতাশ
- পাহাড়ের বুকে সড়ক, যোগাযোগের নতুন মাইলফলক
- দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ
- শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- ছাব্বিশে পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ