• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০  

জাতির গৌরব ও গর্বের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন আজ। ৯৯ বছর পূর্ণ করে আজ এ বিশ্ববিদ্যালয় পা রাখছে শতবর্ষে। স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখা বিশ্বের অনন্য এই বিদ্যাপীঠ স্বীকৃত 'জাতির বাতিঘর' হিসেবে। শুধু শিক্ষা ও গবেষণায়ই নয়, জাতীয় প্রয়োজনের ক্রান্তিলগ্নে জাগরণের ভিত্তিভূমি হিসেবে কাজ করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, আজকের এই দিনে পূর্ববাংলায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এ বিদ্যাপীঠ। সেই থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- 'শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।'

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। তার তিন দিন আগে ভাইসরয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতা। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাস করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। প্রথিতযশা শিক্ষাবিদের পদচারণায় ধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন। প্রতিষ্ঠালগ্নে এখানে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ সি টার্নার, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌, জিএইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিএ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, এএফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রী শহীদ হন।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৬০টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ছাত্রছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ও ১৩৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৬,১৫০ জন; পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২,০০৮ জন শিক্ষক। চলতি বছর মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি' প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে হবে। 

দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের অস্তিত্বপ্রতিম এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। দেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও একই বছর উদযাপিত হবে। তাই বছরটি হবে আমাদের জন্য এক বিশেষ মর্যাদা, সম্মান, আবেগ, অনুভূতির সংশ্নেষে গৌরবদীপ্ত ও স্মৃতি-ভাবুকতার বছর। তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের অতিসংক্রমণের কারণে বাংলাদেশও গভীর সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আশার কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি : করোনা পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে দিবসটি উদযাপিত হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : আজ সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানো এবং সকাল ১১টায় অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা হয়।

আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সংযুক্ত হয়ে 'শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় :আন্দোলন ও সংগ্রাম শীর্ষক মূল বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া, এই অনলাইন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, প্রাক্তন দু'জন উপাচার্য, দু'জন ডিন, দু'জন প্রভোস্ট, একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির পক্ষ থেকে নেতারা সংযুক্ত হবেন।

বরগুনার আলো