শিশুর জ্বরের সঙ্গে এসব উপসর্গ থাকলে সাবধান
করোনাভাইরাসের কারণে এখন জ্বর সবাই আতঙ্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কিছু দিন আগেও জানান, শিশুরা কোভিড ১৯ ভাইরাসের থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু সার্স কোভ-২ ভাইরাসের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে কাওয়াসাকি ডিজিজ ও এরই মতো আরও একটি রোগ এমআইএস-সি অর্থাৎ মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেনের প্রবণতা যথেষ্ট বেড়েছে।
ভারতের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, প্রবল জ্বর আর শরীরজুড়ে লাল র্যাশ, এ ধরনের উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকরা এখন মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন বা কাওয়াসাকি ডিজিজের কথা মাথায় রাখছেন।
করোনা সংক্রমণের গতিবিধি নিয়ে এখনও বিভ্রান্ত চিকিৎসকরা। তবে করোনা আবহে শিশুদের মধ্যে কাওয়াসাকি ডিজিজ এবং এমআইএস-সির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ চরমে ওঠে মার্চ-এপ্রিল মাসে।
ইতালি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন ইত্যাদি দেশে কোভিড ১৯-এর পাশাপাশি বাচ্চাদের মধ্যে কাওয়াসাকি এবং কাওয়াসাকির মতো রোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে চিকিৎসকরা বাচ্চাদের কোভিড টেস্ট করে দেখেন, বেশকিছু বাচ্চার কোভিড পজিটিভ। করোনা নেগেটিভ বাচ্চাদের প্রায় সকলেই করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিল। তার থেকেই এই সংক্রমণ।
প্রভাস প্রসূন গিরি জানালেন, 'এর পরেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে, কোভিড ১৯-এর সঙ্গে সরাসরি কাওয়াসাকি ও কাওয়াসাকির মতো উপসর্গ যুক্ত রোগের (অর্থাৎ এমআইএস- সি) সম্পর্ক আছে।
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের আরেক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিয়ঙ্কর পাল জানান, 'মূলত ঋতু পরিবর্তনের সময় কাওয়াসাকি ডিজিজের প্রবণতা বাড়তে দেখা যায়। তবে এবারে এই সময়টায় কাওয়াসাকি নিয়ে আসা বাচ্চার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।'
প্রিয়ঙ্কর জানালেন, গত ১০ বছরে কলকাতা শহরে কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
কোভিড ১৯-এর সঙ্গে কাওয়াসাকি এবং এমআইএস- সির একটা সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তারাই কাওয়াসাকি ও এমআইএস- সি অসুখ ডেকে আনে। টোকিয়োর রেড ক্রশ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ তোমিসাকু কাওয়াসাকি নামে এক চিকিৎসক প্রথম এই রোগটি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তার নামেই রোগটির এই নাম দেওয়া হয়। এ বছরের ৫ জুন কাওয়াসাকি ৯৫ বছর বয়সে মারা যান।
প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, “এই রোগের শুরুতে ১০২ ডিগ্রি বা তারও বেশি জ্বর হয়। তিন দিন বা তারও বেশি সময় ধরে জ্বর চলতে থাকে। ঠোঁট ও চোখ টকটকে লাল হয়ে যায়। তবে চোখ থেকে পিচুটি বেরয় না। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল র্যাশ বেরোয়। যৌনাঙ্গেও র্যাশ বেরোতে পারে। ঠোঁট ও জিভ লাল হয়ে ফেটে যায়, ঘাড়ের গ্রন্থি ফুলে যায়, হাতের তালু ও পায়ের পাতা লাল হয়ে ফুলে গিয়ে ত্বক ফেটে ছাল ওঠে। এ ছাড়া পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।'
প্রায় একই কথা জানিয়ে প্রিয়ঙ্কর পাল বলেন, এই রকম উপসর্গ দেখে কিছু রক্ত পরীক্ষা করে রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সিদের কাওয়াসাকি রোগ হয় এবং তুলনামূলক ভাবে একটু বড় বাচ্চাদের মধ্যে (৮–১৫ বছর) এমআইএস- সি বেশি দেখা যায়।”
প্রভাস প্রসূন জানান, “এমআইএস- সি কাওয়াসাকির থেকেও মারাত্মক। কাওয়াসাকি রোগে হার্টের ধমনিতে প্রদাহ হয়ে ফুলে উঠে ব্লকেজ হতে পারে। অন্য দিকে এমআইএস- সি অসুখে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়। হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে ১০–১৫ জন শিশুকে ইন্টেনসিভ কেয়ারে রেখে (আইসিইউ) চিকিৎসা করতে হয়। অন্য দিকে এমআইএস- সি আক্রান্তদের ৬৫–৭৫ জন শিশুকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা করতে হয়। আসলে এই রোগে বাচ্চাদের হার্টের পেশিগুলো আক্রান্ত হয়ে মায়োকার্ডাইটিস হয়। হৃদপিণ্ডের পাম্পিং রেট কমে গিয়ে হার্ট ফেলিওর হয়। এই অসুখে দ্রুত চিকিৎসা না করালে হার্ট ফেলিওর হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। কাওয়াসাকিতে হার্টের ধমনি আক্রান্ত হলেও হার্ট ফেলিওর হয় না বললেই চলে। তবে পরবর্তীকালে হার্টের সমস্যা থেকেই যায়। অ্যাসপিরিন ও ইন্টারভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজন হলে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় থাকা রোগীদের স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।'
সব থেকে সমস্যার হলো, এই রোগ দুটির নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি। এই দুটিই মূলত অটো ইমিউন ডিজিজ। তবে কোভিড ১৯-এর সঙ্গে যেহেতু রোগের সরাসরি সম্পর্কের কথা জানা গেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে যেসব নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে দুই চিকিৎসকেরই একই অভিমত।
বরগুনার আলো- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- গরমে মুখে ও পিঠে ব্রণ হচ্ছে?
- ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজই
- বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে সঙ্গীত শিল্পী ‘পাগলা হাসান’সহ নিহত ২
- বিয়েবাড়ির মতো খাসির মাংস ভুনা করবেন যেভাবে
- বদলা নিতে ডেকে নিয়ে কোপানো হয় পাভেলকে
- নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার তাগিদ
- বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা: শেখ হাসিনা
- স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ
- জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো
- শপথ নিলেন পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমার
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ ও সমাজে কল্যাণ হচ্ছে- শাজাহান খান
- মাদারীপুরে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিনজন গোয়েন্দা পুলিশের জালে
- ম্যান সিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল
- উজিরপুরে প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- ‘সেফ জোনে’ ২৩ নাবিক, নিরাপত্তায় ইতালির যুদ্ধজাহাজ
- জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য: আইএমএফ
- মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
- সন্দেহভাজন আরও এক কেএনএফ সদস্য কারাগারে
- রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
- প্রভাব খাটিয়ে আর পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই: মন্ত্রী
- গলায় কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
- পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল আগামী সপ্তাহে
- রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
- ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখিয়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: স্পিকার
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- উজিরপুরে চিহ্নিত তিন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবাসহ গ্রেফতার
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ফিতরার হকদার যারা
- পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- ব্যর্থতায় বিএনপি নেতারা এখন ক্লান্ত: ওবায়দুল কাদের
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?