শুধু স্লোগানে সোনার বাংলা আসবে না: বঙ্গবন্ধু
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র স্লোগান দিয়ে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো না। বরং সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’ কৃষক-শ্রমিকসহ সব পেশাজীবীকে নিজ নিজ জায়গায় কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বাজেটে পল্লি উন্নয়ন ও কৃষি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।’ ১৯৭২ সালের ৩ জুলাই কুমিল্লার অভয় আশ্রম ময়দানে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চোরাচালানকারীদের পাকড়াও করে পুলিশের হাতে হস্তান্তরের নির্দেশও দেন বঙ্গবন্ধু।
কৃষকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বর্তমানে শতকরা ৮০ জন কৃষককে রাজস্ব দিতে হচ্ছে না। কারণ, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির কর মওকুফ করা হয়েছে।’ কৃষকদের ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কম করে হলেও এক মণ করে ধান ও পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
সরকারি কর্মচারীদের প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ইয়াহিয়া খানের দখলদারিত্বের আমলে যেসব সরকারি কর্মচারী চাকরি করেছে, সরকার চাইলে তাদের বরখাস্ত করতে পারতো।’ কিন্তু তাদের ব্যাপারে উদার মনোভাব গ্রহণ করে তাদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এখন তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে ও সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করতে বলেন তিনি।
মজুতদার ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কারোর প্রতি কোনও অনুকম্পা দেখানো হবে না।’ ভাষণে তিনি আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাদের হত্যার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিলে তিনি (ইন্দিরা) এক কোটি লোককে আশ্রয় দেন। তিনি আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেন।’ আশ্রয় দেওয়ায় কুমিল্লা জেলার সংলগ্ন ত্রিপুরা রাজ্যের জনগণ ও এলাকার লোকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানান। ওই জনসভায় দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং তা পরিচালনা করেন। পরে এবারের সংগ্রাম দেশ গড়ার সংগ্রাম স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধু ভাষণ শেষ করেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে বলে জানিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের বিচার করবো। অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সংযত হওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে আমি কর্ণপাত করছি না। পাকিস্তানের স্বীকৃতির ওপর বাংলাদেশের অস্তিত্ব নির্ভর করে না। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বাস্তব সত্যকে ইতোমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে। বাংলাদেশ একটা বাস্তব সত্য এবং টিকে থাকার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানকে আমরা স্বীকার করি কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী সভায় ঘোষণা করেন যে, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে যারা আহত বা অক্ষম হয়ে পড়েছেন, তাদের কল্যাণ সাধনের জন্য শিগগিরই একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে ট্রাস্টের প্রধান করা হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের পরিবারবর্গকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে এ যাবত এককোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নতি স্বীকার করবো না
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন বা না দেন, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কী করে নিজের আসন করে নিতে হয়, সাড়ে সাত কোটি লোকের দেশ— বাংলাদেশ ভালো করেই তা জানে।’ হুমকি বা চাপের মুখে নতি স্বীকার করবো না উল্লেখ করে জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘জনাব ভুট্টোর চিন্তা করা উচিত, পাকিস্তানের প্রতি আমাদের স্বীকৃতিরও তার প্রয়োজন আছে।’
তিনি ভুট্টোকে মনের অস্থির অবস্থা পরিহার করে উপমহাদেশের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করে নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী পুনরায় বলেন, ‘বিশ্বের এমন কোনও শক্তি নেই— যা আমাদেরকে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা থেকে বিরত করতে পারে। এ প্রশ্নে আমরা কোনও হুমকি বা চাপের কাছে নতি স্বীকার করবো না।’
বরগুনার আলো- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট