• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯  

 

৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা পর কাঙ্খিত  ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারা। পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় স্বরূপে ফিরেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) বরগুনার পাথরঘাটা।
মৌসুমের শুরুতে ৬৫ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় এত দিন জেলেরা মাছ শিকার করতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে এখন বঙ্গোপসাগর ও তার মোহনাসংলগ্ন বিষখালী, বলেশ্বর নদী ও গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটে উঠেছে জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে। তাই স্বরূপে ফিরেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) বরগুনার পাথরঘাটা।
মাছভর্তি নৌযান কিংবা ট্রলার নিয়ে জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে হাসিমুখে ফিরছেন ঘাটে। আবার অনেকে মাছ ধরার জন্য ছুটছেন সাগরপানে। জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে। সব মিলিয়ে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে। অন্য দিকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বরফ কলের শ্রমিকরাও। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় উপকূলীয় জেলে পল্লিগুলোতে স্বস্তি ফিরেছে।
এদিকে, অবরোধ চলাকালে ভারতীয় জেলেরা মাছ না ধরলে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়ত বলে দাবি উপকূলের জেলেদের। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, গত দুই মাস ধরেই এমন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। যা ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় জেলেরা।
মৎস্য বিভাগ বলছে, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। যা ফলপ্রসূ হয়েছে। সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে।
গতকাল শনিবার গ্রেড অনুযায়ী মণপ্রতি ইলিশ বিক্রি হয়েছে, ফিশিং প্রথম গ্রেট ২১ থেকে ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় গ্রেট ১৭ থেকে ১৯ হাজার টাকা। লোকাল প্রথম গ্রেট ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। দ্বিতীয় গ্রেট ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা, তৃতীয় গ্রেট ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা ধরে কেনাবেচা চলছে। এছরাও এক কেজির বড় সাইজ ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা ধর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
জেলেরা জানান, ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই সরকার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মাছ ধরতে না পেরে জেলেদের না খেয়ে দিন পার করতে হয়েছে এতদিন। ট্রলার মালিকসহ মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে সাগরে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি ইলিশ পাবেন এমনটাই আশা করছেন তারা।
উপজেলার রুইতা এলাকার ট্রলার শ্রমিক বাবুল মিয়া জানান, ট্রলার সকালেই ঘাটে নোঙর করেছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়ে যে মাছ পেয়েছেন তাতে খুশি তিনি। এবার প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো মাছ বিক্রি করতে পারবেন।
আড়তদার শেখর চন্দ্র জানান, সাগর থেকে কিছু ট্রলার ঘাটে আসছে, তাদের প্রতেকেই কম-বেশি মাছ পাচ্ছে। বিক্রি করেও ভালোই লাভ করছে তারা। তাই ইলিশের দাম মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহ্ফুজুল হাসনাইন জানান, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতাবিষয়ক সভা-সভাবেশ করা হয়েছে। এতে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। যে কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। প্রচুর বৃষ্টি হলে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।

বরগুনার আলো