• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে একাত্মতা ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদের কাছে পাঠানো এক বাণীতে সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিপীড়িত মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা ঘোষণা করেন। ১৯৭৩ সালে পোল্যান্ডে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির যে বিশেষ অধিবেশন শুরু হয় সেখানে তিনি বাণী প্রেরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির পক্ষে কাজ করতে আগ্রহী। উপমহাদেশের স্থায়ী শান্তি স্থাপনের জন্য সকল মানবিক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ঘোষণা তারই একটি আন্তরিক অভিব্যক্তি।

বিশ্ব শান্তি পরিষদ সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বিশ্ব শান্তির পথে বাধা হয়ে উঠেছে। বৃহৎ শক্তির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নিপীড়িত ও দরিদ্র মানুষের সমস্যা উপেক্ষিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হলো মানুষের দ্বারা মানুষের শোষণ, একে অপরকে প্রভাবিত করা ও মানবতার বিরুদ্ধে হিংস্রতার প্রবণতাকে প্রতিরোধ করার একমাত্র পথ।

বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাস করে এবং নিরপেক্ষতা ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূলনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। বিশ্ব শান্তি পরিষদের বৈঠক মানবতার কল্যাণে দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু।

বাঙালি গ্রেফতারে দিল্লির প্রতিক্রিয়া

ভারত এইদিনে পাকিস্তানে বাঙালিদের গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। তারা বলে, পাকিস্তানে বাঙালি গ্রেফতারের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে ব্ল্যাকমেইল করার যে প্রচেষ্টা করেছে তা ‍দুইদেশ একযোগে প্রতিহত করবে। লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিং পাকিস্তানে বাঙালিদের আটক করার সমালোচনা করেন।

তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এই ধরনের কার্যকলাপ উপমহাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা ব্যাহত করবে। রাজ্যসভায়ও সদস্যরা পাকিস্তানের সবশেষ হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

ঢাকায় আসন্ন এশিয়া শান্তি সম্মেলন

১৯৭৩ সালের ২৩ মে থেকে ২৫ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া শান্তি সম্মেলনে দেশের বাইরে থেকে ১৩০ প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার কথা। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন ঢাকা শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক দেওয়ার কথা। সম্মেলনে অন্যান্য অধিবেশন হোটেল পূর্বাণীতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এসব অধিবেশনে বিদেশ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক পর্যবেক্ষক যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে ৭০ জন ছিলেন।

দূত পৌঁছানোর ব্যবস্থা

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছানো নিশ্চিত করতে সরকার ব্যবস্থা নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে সময়মতো পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য পৌঁছানোর কাজ তদারকির জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়।

চট্টগ্রামে পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ১২৩টি ওয়াগনের ব্যবস্থা করে। এর আগে খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য সপ্তাহে ৬০টি ওয়াগন দেওয়া হতো। চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ এ শতকরা ৪০ ভাগ ও খুলনায় শতকরা ৩০ ভাগ খাদ্যশস্য উপকূলীয় জাহাজ ও নৌযানে পাঠানো হয়েছে।

ঝড়ের পর এবার বন্যায় সয়লাব চারপাশ

বন্যায় সিলেটের হবিগঞ্জ মহাকুমার বেশ কিছু থানার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে হাজারেরও বেশি লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। ফেনী মহাকুমার দুটি থানায় বন্যায় কয়েক শ একর জমির ফসল ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে প্রায় এক লাখ লোক বিপন্ন হয়ে পড়ে। নদীর বাঁধের কয়েক জায়গায় ফাটল ধরা পড়ে।

সিলেট থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির বরাত দিয়ে দৈনিক বাংলা বলে, খোয়াই নদীর ৫০টি স্থানে ভাঙনের ফলে হবিগঞ্জ থানা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নগদ অর্থে মানি অর্ডার অথবা যেকোনো মাধ্যমে বা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে মুক্ত হস্তে দান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

 

বরগুনার আলো