• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

হাতিয়া-নিঝুম-কুতুবদিয়া দ্বীপ আসছে বিদ্যুতের আওতায়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগ পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

এই রোডম্যাপের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত সেই প্রকল্পটি হলো ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিুদ্যতায়ন’। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। এতে খরচ হবে মোট ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩৭০ কোটি ৮৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি এই প্রকল্পের গ্রেট সাপোর্টার। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ আমাদের জাতীয় গ্রিডের আওতাভুক্ত নয়। ঢাকায় বসে আমরা যে মানের বিদ্যুৎ পাচ্ছি, এইসব দ্বীপের মানুষও যেন সার্বক্ষণিক সেই বিদ্যুৎ সেবা পায় তা নিয়ে কাজ করছি আমরা। এটা একটা ইন্টারেস্টিং প্রকল্প।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে হাতিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খাল দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে নিঝুম দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ৪২ হাজার গ্রাহককে (প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার সংখ্যক জনগোষ্ঠী) বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা।

এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে চারটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ (তিনটি হাতিয়া দ্বীপে ও একটি কুতুবদিয়া দ্বীপে), কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খালে দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, নতুন মোট ৬৭৬ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ (হাতিয়া দ্বীপে ৪৬৫ কিলোমিটার, নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), বিদ্যমান ৩৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন রেনোভেশন (হাতিয়া দ্বীপে ২৫ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), মোট ২ হাজার ৭০০টি পোল মাউটেন্ড বিতরণ উপকেন্দ্র স্থাপন (হাতিয়া দ্বীপে দুই হাজারটি, নিঝুম দ্বীপে তিনশটি ও কুতুবদিয়া দ্বীপে চারশটি) এবং অফিস ভবন কাম রেস্ট হাউজ, ডরমিটরি, সীমানা দেয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।

বরগুনার আলো