• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

৭ শিশু: সাবেক ডিআইজি আনিসের স্ত্রীর জামিন স্থগিত

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

শিশুপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সাত সন্তানের মা-বাবা বলে দাবিদার পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আনোয়ারা রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল শিশুপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সাত সন্তানের মা-বাবা বলে দাবিদার পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান জামিনে গিয়ে পলাতক। অপর আসামি তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

এরপর আনোয়ারা রহমান হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্ট জামিন দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, অভিযুক্তরা দাবি করেছিলেন, তাদের মোট ১৪ সন্তান। তাদের মধ্যে সাতজন প্রায় একই বয়সের শিশু। ২০০৬ সালের ২ জুন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তাদের বাসায় গেলে অভিযুক্তরা শিশু রহস্যের ঘটনার সঠিক তথ্য সরবরাহ না করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়।

ঘটনা প্রকাশ পেলে সাবেক ডিআইজি আনিস ১৪ জনকেই তাদের সন্তান দাবি করেন। জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী আনোয়ারা ওই শিশুদের মধ্যে ৩ জনকে জন্ম দেন আট মাস সময়ের মধ্যে।

আসামিরা সাত শিশুকে জমজ বলে দাবি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আদালত রায় দেন যে, সন্তানগুলো যমজ নয় এবং একই মায়েরও সন্তান নয়।

এ সম্পর্কে ২০০৬ সালের ২ জুন হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে শিশুগুলোকে পাচারের উদ্দেশ্যে এনে জড়ো করা হয়েছিল এমন অভিযোগ এনে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।  

২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারক মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নেন।

বরগুনার আলো