• রোববার ০২ জুন ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩১

  • || ২৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেয়া হবে: শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট দ্রুত মেরামতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমওর সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কী কল্যাণ বয়ে আনছে- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে কঠিন : শেখ হাসিনা শান্তিরক্ষা-শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম : রাষ্ট্রপতি রাত ২টা পর্যন্ত নিজেই দুর্যোগ মনিটর করেছেন প্রধানমন্ত্রী রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অগ্রযাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারি ‘কলকাতায় মুজিব’ অবলোকন ঢাকাবাসীকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়: প্রধানমন্ত্রী সকালেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে রেমাল, আছড়ে পড়বে মধ্যরাতে

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ বরদাশত করবে না বাংলাদেশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

‘বঙ্গবন্ধু জীবনে কোনওদিন কারও কাছে মাথা নত করেননি। মাও সেতুং এর পা ধরে তিনি জাতিসংঘের সদস্য হতে যাবেন না, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।’ —জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিতে চীনা ভেটোর প্রতিবাদে জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন) সৈয়দ নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও বাস্তবতাকে যারা স্বীকার করে না তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাকারী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিতে ভেটো দানকারীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তিনি ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাসী। আমরা বন্ধুত্ব চাই কিন্তু আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ চাই না। আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ বরদাশত করবো না। তা রাশিয়া-আমেরিকা বা ভারত—যেই হোক না কেন। বিদেশি শক্তির আধিপত্য আমরা মেনে নেবো না। আমরা জানি গোলামী চেয়ে মৃত্যু ভালো। যদি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে বন্ধুত্ব চায় তা বিবেচনা করবো।
মাওলানা ভাসানীর উভয় বাংলার দাবি প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি বৃহত্তর বাংলার দাবি করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের ভারতীয় সৈন্য রয়েছে বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটি মিথ্যাচার উল্লেখ করে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য রয়েছে তবে আমরা নতি স্বীকার করব।

 

গুলি করে হত্যার আইন প্রণয়ন করুন

চোরাচালান বন্ধে সরকারের প্রতি অনতিবিলম্বে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বলেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে কারফিউ জারি করতে হবে, চোরাকারবারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করার আইন পাস করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে উদ্যত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, চীনকে ক্ষমা করা গেলেও চীনের বাঙালি এজেন্টের ক্ষমা করা যায় না। জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি প্রশ্নে চিনের ভেটো প্রয়োগে প্রতিবাদে এদিন পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভায় জিল্লুর রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী ও তার দলের মাওবাদীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বলছে, এখানে এখনও ভারতীয় সৈন্য রয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা আইন-কানুন বলতে কিছু নেই। এসব মিথ্যা প্রচারণাকারী বিশ্বাসঘাতকদের কঠোর হস্তে দমন করা হলে জনগণ আনন্দিত হবে।

বঙ্গবন্ধু শিগগির ফিরছেন

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেনেভা থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন। ১০ তারিখ পল্টন ময়দানে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম একথা ঘোষণা করেন। বিপিআই পরিবেশিত এক খবরে উল্লেখ করা হয়,  প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সন্ধ্যায় অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নজরুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় বঙ্গবন্ধু দেশের খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের পরিস্থিতির খোঁজ নেন এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চান। আওয়ামী লীগের জনসভা বিষয়েও তিনি জানতে চান।

অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে বঙ্গবন্ধু যখন আলাপ করছিলেন সেসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।

খবরে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু স্বদেশ ফিরলে তাকে সংবর্ধনা জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ওইদিন বিমান থেকে অবতরণ করার পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে মাল্যভূষিত করবে এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা বঙ্গবন্ধুকে বিপুল সমর্থন জানানোর উদ্দেশ্যে কর্মসূচি গ্রহণের জন্য দু-একদিনের মধ্যে বৈঠকে মিলিত হবে বলেও খবরে বলা হয়।

বরগুনার আলো