• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪  

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়। এরপর থেকেই তাদের নিয়ে সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা, সামাজিক, পরিবেশগত ও আরও বিভিন্ন ধরনের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। বেপরোয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে এখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে, যা দেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রোহিঙ্গারা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্মনিবন্ধন করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে রক্ষিত রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ওই সংস্থা প্রাথমিক সম্মতিও দিয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কাছে রোহিঙ্গাদের যে ডাটাবেজ আছে সেটি ব্যবহার করতে চায় সরকার এবং এর মাধ্যমে রোহিঙ্গারা যাতে কোনও ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে চায়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ রয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে এবং তাদের ওই তথ্য ব্যবহার করা সম্ভব হলে রোহিঙ্গাদের পক্ষে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক মাসের ভেতরেই ডাটাবেজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসের রোহিঙ্গারা যখন আসা শুরু করে তখন বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ তৈরির একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় সাত লাখের মতো রোহিঙ্গার ডাটাবেজ তৈরি করার পরে সেটি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই ওই সংস্থা এই ডাটাবেজ আপডেট করার কাজ করছে। বর্তমানে প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার দশ হাতের আঙুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনার স্ক্যান করা আছে জাতিসংঘ সংস্থাটির কাছে।

বর্তমানে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এটি প্রতিরোধ করতে চাই এবং এর জন্য আমাদের প্রয়োজন রোহিঙ্গা ডাটাবেজ। যেহেতু জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে ওই ডাটাবেজটি আছে এবং তারা প্রতিদিন এটি আপডেট করে। আমরা এটি ব্যবহার করার জন্য ইতোমধ্যে তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমাদের সহায়তা করতে রাজি আছে।

ওই ডাটাবেজটি জেনেভায় একটি সার্ভারে রক্ষিত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখন খুঁজে বের করতে হবে ওই ডাটাবেজটিকে বাংলাদেশের যে সিস্টেম রয়েছে, সেটির সঙ্গে কীভাবে কাজ করানো সম্ভব।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। তাদের কোনোভাবেই বাংলাদেশে কোনও ধরনের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে দেওয়ার কোনও সুযোগ তৈরি হোক, এটি সরকার চায় না। সে কারণে আমরা প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সব দরজা বন্ধ করে দিতে চাই।

বরগুনার আলো