স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই হবে জাতির জনকের ঋণ শোধ
![](https://www.bargunaralo.com/media/imgAll/2021 July/16-11-2301111256-2301110719.jpg)
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই জাতির জনকের রক্তের ঋণ শোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীর পিতা দেশের অধীকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের রাজনৈতিক অধীকার , অর্থনৈতিক অধীকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। এই বঞ্চিত মানুষগুলোর মুখে দু বেলা দু মুঠো ভাত তুলে দিতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার ভাষার ওপর আঘাত আনলো, তিনি ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ভাষা অন্দোলন শুরু করেন এবং সেই পথ ধরেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তানী চক্রান্ত ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অভুতপূর্ব সাড়া দেয় সবাই। এই অত্যাচারের পরে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। বঙ্গবন্ধু তা আগে থেকেই জানতেন, সেজন্য তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। এমনকি এ কথাও তিনি বলেছিলেন, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। যার যা কিছু শত্রুর মেকাবিলা করতে। তিনি সে সময় স্বাধীনতার ঘোষণাও দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপ সুচতুরভাবে নিয়েছিলেন তিনি। তারই নির্দেশনা মতো আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে আশ্রয় নিয়ে সরকার গঠন করে।
সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ নয়মাস বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি থাকেন। তাকে ফাঁসি দেবার জন্য কারাগারে কবর খোড়া হয়। তবে আমাদের এ যুদ্ধ কিন্তু জনযুদ্ধ ছিল। সেই সঙ্গে ভারতের মিত্র বাহিনীও আমাদের সাথে সাথে যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার ভারতীয় সেনাও মারা যান। তিনি বলেন, ভুট্টো তার নিজের সার্থে টিকে থাকার জন্য এবং ভারতীয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিপৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রধানদের পাকিস্তানকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিদর জন্য চাপ সৃষ্টির কথাও বলেন। তারই পরে ৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। এবং প্রথমেই লন্ডনে যান। আমার মা শুধু মাত্র বলতে পেরেছিলেন.. ‘তুমি কি বেচে আছো’ আর কোন কথা মা বলতে পারেননি। ১০ জানুয়ারি ভারত ঘুরে দেশে ফিরে এসে প্রথমে পরিবারের কাছে না গিয়ে জনগণের কাছে যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধীকার ফিরিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু, তিনি ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র তিন বছর পরে ১৯৭৩ সালে তিনি নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন জাতীয় ঐক্য, মানুষের উন্নয়ন, তিনি চেয়েছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, এদেশের মানুষ যাতে দু বেলা দু মুঠা ভাত ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন এরশাদ, জিয়া, মোস্তাক। কই তারা তো মানুষের উন্নয়ন দেশের উন্নয়ন করে যেতে পারে নি। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষ খেতে পায়, দেশের উন্নয়ন করে চলেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে আমরা বাংলাদেশ নামক ভুখণ্ড পেতাম কিনা জানি না। তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনেই তিনি দেশবাসীকে সব বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার কোন কিছু না মেনে ২৫ মার্চ কাল রাত্রিতে গণহত্যা চালায়। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী বাহিনী সে দেশে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে রাখে। কিন্তু তাকে প্যারোলে মুক্তি দিতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে অসাংবিধানিক সরকারগুলো। এখনো তারা স্বাধীনতা-সার্বভৈৗমিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে আমরা এ দেশ পেতাম না, স্বাধীন পতাকা পেতাম না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন এদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) বাঙালিদের না। সে জন্য তিনি বার বার বাঙালী জাতিকে সব দিক থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই নির্দেশে বাঙারী জাতি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। তার ২৪ দিন পরে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়, তিনি ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে এলে দেশর জনগণ পূর্ণ স্বাধীনতার সাদ উপলব্ধি করে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষ বড় ভালবাসতেন। তিনি বলতেন, মানুষের ওপর বিশ্বাস না হারাতে। সেই আপন ভাবা মানুষই তাকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার জেল খানায় বন্দী করে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতসহ বিশ্ব জনমতের চাপে তারা সেটা করতে পারিনি। তারপরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাতে হত্যা করে এই বাঙারীরাই। এর পরে অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের করে দেশকে পিছিয়ে নেয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করার বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করেন।
রাশেদ খান মেনন মৃুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনায় আনেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে খুব বিশ্বাস করতেন। আর তার সেই বিশ্বাসের মূল্য দিতে হয় তাকে জীবন দিয়ে। মেনন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মনন ও দুরদর্শিতার প্রশংসা করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি জামাত জোট মিমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চক্রান্ত করে চলেছে। এরাই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারা এখনো দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, এদের বিষদাত এখুনি ভেঙে দেবার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার রাস্তা তৈরি করেন তারই কাছের মানুষেরা। একদল বিপথগামী স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্টি দেশী বিদেশী চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর আরো আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাপার এমপি রওশন আরা মান্নান।
বরগুনার আলো- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- আন্দোলন-সংঘাতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি কত?
- একলাফে কাঁচা মরিচের দাম কমল ৯৫ টাকা!
- কোটা সংস্কার আন্দোলন: ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হামলাকারীরা
- স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
- আমিরাতে শ্রমিক নেয়া বন্ধের খবর সঠিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি ৫ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে
- পায়রার পাশেই আরএনপিএল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র॥ উৎপাদনে আসছে সেপ্টম্বরে
- জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ বরগুনার দুই প্রতারক সদস্য আটক
- বিসিএসে সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারি হয় তাহসানের মায়ের আমলেই
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- তারেককে ফেরাতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- পানির ফিল্টারের ঘোষণা, কনটেইনারে এলো ৫০ লাখ সিগারেট
- ভোলায় নারীকে ইভটিজিং করা এক ব্যক্তির কারাদন্ড
- কোটা আন্দোলন: গর্ত থেকে বের হচ্ছে ছাত্রদল-শিবির ক্যাডাররা
- চরখালীতে হচ্ছে মৈত্রী সেতু উপকূলে আনন্দের বন্যা
- প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে স্পেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- বিমানবন্দর গোলচত্বরে হচ্ছে বৃহত্তম আন্ডারপাস
- নুরের পথ ধরেই নাহিদরা, আড়ালে তিন ছাত্র সংগঠন
- ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কোকা-কোলাকে লিগ্যাল নোটিশ
- এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সময় বাড়ানোর নির্দেশ
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- কোটা আন্দোলনে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের ক’জন বিসিএসে চান্স পেয়েছে?
- সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে