নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?
![](https://www.bargunaralo.com/media/imgAll/2024May/cover-20240518153425-2405191317.jpg)
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধ নিতে ব্যর্থ হন তখন নেবুলাইজারের সাহায্যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারণা আছে যে, নেবুলাইজার বা ইনহেলার হলো বিশেষ ধরনের ওষুধ। তবে প্রকৃতপক্ষে নেবুলাইজার কিংবা ইনহেলার কোনো ওষুধ নয়, এগুলো ওষুধ প্রয়োগের বিশেষ যন্ত্র।
নেবুলাইজারের সাহায্যে সালবিউটামল, ইপ্রাট্রোপিয়াম, স্টেরয়েড প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। তবে নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগের পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি ইনহেলারের থেকে ভিন্ন। সঠিক নিয়মে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সাধারণত তিন ধরনের নেবুলাইজার ব্যবহৃত হয়- আল্ট্রাসনিক নেবুলাইজার, মেশ নেবুলাইজার ও জেট নেবুলাইজার। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে ওষুধের তরল উপাদানকে অ্যারোসলে রূপান্তরিত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয় আল্ট্রাসনিক নেবুলাইজারে।
আর মেশ নেবুলাইজারে মেশ বা জালের সাহায্যে তরল ওষুধ অ্যারোসলে পরিণত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয়। তবে সহজলভ্য ও পরিচালনা পদ্ধতি সহজ বলে আমাদের দেশে জেট নেবুলাইজার বেশি ব্যবহৃত হয় ও জরুরি প্রয়োজনে তা বাসা-বাড়িতেও ব্যবহার করা যায়।
আমরা যে নেবুলাইজার ব্যবহার করি তা আসলে জেট নেবুলাইজার। নেবুলাইজার ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ অপরিহার্য।
জেট নেবুলাইজারের বেশ কয়েকটি অংশ থাকে। নেবুলাইজারে কমপ্রেসরের মাধ্যমে চাপযুক্ত বাতাস প্রয়োগ করা হয়। টিউবটি হয় প্লাস্টিকের তৈরি, যা কমপ্রেসরকে নেবুলাইজারের ওষুধ চেম্বারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর নেবুলাইজারে ওষুধ চেম্বারের তরল ওষুধটি অ্যারোসল বা স্প্রেতে রূপান্তরিত হয়।
নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগের জন্য প্রথমে রোগীকে আরামদায়কভাবে আধশোয়া বা বসা অবস্থায় রাখতে হবে। এবার নির্দেশনা অনুযায়ী নেবুলাইজারের অংশগুলো জোড়া দিয়ে নেবুলাইজারকে কার্যক্ষম করতে হবে।
প্রতি স্প্রেতে ২৩ মিলি পানি, সঙ্গে বয়স ও ওজন অনুসারে ১ থেকে ৫ মি.লি. সালবিউটামল সলিউশন ও প্রয়োজনে ইপ্রাট্রোপিয়াম দ্রবণ (৫ মিলি) নিতে হয়। সাধারণত ৩-৬ মিলি তরল ওষুধের মিশ্রণ ৫-১০ মিনিট যাবত নেবুলাইজ করা হয়। এক্ষেত্রে কমপ্রেসরটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে সুইচ অন করতে হবে। এতে বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হবে।
এরপর ওষুধের অ্যারোসল মাউথপিস (টিপিস) বা মাস্ক দিয়ে রোগীর মুখে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে দিতে হয়। মাউথপিস ব্যবহার করলে রোগীকে এটি দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট বন্ধ করে রাখতে হবে। নেবুলাইজ করার সময় রোগীকে ধীরে ধীরে ও লম্বা শ্বাস নিতে হবে।
একবার ব্যবহারের পর কিছু পরামর্শ মেনে নেবুলাইজার পরিষ্কার করা উচিত। নেবুলাইজার মেশিনটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এজন্য ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবুলাইজারের কমপ্রেসর, টিউব, মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার আলাদা করে ফেলে মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড রেখে ধুয়ে নিয়ে বাতাসে এগুলো শুকিয়ে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে সিরকা ও পানির মিশ্রণও ব্যবহার করা যেতে পারে। কমপ্রেসর, টিউব সাধারণত গরম পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। টিউবের বাইরের দিকটা শুধু পরিষ্কার করা যায়। মাউথপিস বা মাস্ক ছয় মাস পর পর বদলানো উচিত।
নেবুলাইজার হাঁপানি ও সিওপিডি আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নয়। এতে রোগীর শ্বাসকষ্টের সাময়িক উপশম হয় মাত্র। একবার বা দুইবার নেবুলাইজ করার পরও শ্বাসকষ্ট না কমলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
কখনো কখনো নেবুলাইজ করার শুরুতে রোগীর শ্বাসনালি তাৎক্ষণিকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে, তখন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজনও পড়তে পারে। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি জীবনরক্ষাকারী একটি ডিভাইসে পরিণত হয়।
বরগুনার আলো- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- আন্দোলন-সংঘাতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি কত?
- একলাফে কাঁচা মরিচের দাম কমল ৯৫ টাকা!
- কোটা সংস্কার আন্দোলন: ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হামলাকারীরা
- বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি ৫ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে
- পায়রার পাশেই আরএনপিএল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র॥ উৎপাদনে আসছে সেপ্টম্বরে
- জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ বরগুনার দুই প্রতারক সদস্য আটক
- বিসিএসে সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারি হয় তাহসানের মায়ের আমলেই
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- তারেককে ফেরাতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- পানির ফিল্টারের ঘোষণা, কনটেইনারে এলো ৫০ লাখ সিগারেট
- ভোলায় নারীকে ইভটিজিং করা এক ব্যক্তির কারাদন্ড
- কোটা আন্দোলন: গর্ত থেকে বের হচ্ছে ছাত্রদল-শিবির ক্যাডাররা
- চরখালীতে হচ্ছে মৈত্রী সেতু উপকূলে আনন্দের বন্যা
- প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে স্পেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- বিমানবন্দর গোলচত্বরে হচ্ছে বৃহত্তম আন্ডারপাস
- নুরের পথ ধরেই নাহিদরা, আড়ালে তিন ছাত্র সংগঠন
- ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কোকা-কোলাকে লিগ্যাল নোটিশ
- এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সময় বাড়ানোর নির্দেশ
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে
- কোটা আন্দোলনে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের ক’জন বিসিএসে চান্স পেয়েছে?