• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু প্লান্টে মিটবে সুপেয় পানির সঙ্কট

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  


বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় রূপসার সামন্তসেনায় ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এ প্লান্টটি।
এ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে ৩৩ কিলোমিটার দূরে মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি এনে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পরিশোধন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ পানি ৩টি ক্লিয়ার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে মেইন ট্রান্সমিশন লাইন হয়ে রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে খুলনা শহরে ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি অভার হেড ট্যাংকে প্রবেশ করছে। যার সুফল পাচ্ছেন ৪০ হাজার গ্রাহক।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেই এ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানির চাপও পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলে ২/৩ তলায় ট্যাংকিতে উঠানোর জন্য বিদ্যুৎ খরচের প্রয়োজন হচ্ছে না।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পানি সরবারহ প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৭ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন মেলে। যার বাস্তবায়ন কাজ এরমধ্যে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে মোল্লাহাট মধুমতি নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি রূপসার সামন্তসেনায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করা হচ্ছে। সামন্তসেনায় ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ একর জমির ওপর এ প্লান্টটি নির্মিত হয়েছে। যেখানে দৈনিক গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন হচ্ছে।
প্রথমে এ প্লান্টে পানি প্রবেশের পর তা ফ্লকুলেশন চেম্বারে ক্যামিকেলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হালকা ময়লা দূরীভূত হয়। দ্বিতীয় ধাপে সেডিমেন্টেশন ট্যাংকে যাওয়ার পর ভারী ময়লা নিচের দিকে তলানি হিসেবে জমা হয়। পরবর্তী ধাপে ফিল্টারের মাধ্যমে পানি সম্পূর্ণরূপে পরিশোধিত হয়। পরিশোধনের জন্য কেমিক্যাল হিসেবে পলি এ্যালুমিনিয়াম কেলারাইড এবং জীবানুমুক্ত করার জন্য কেলারিন ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশেই একটি আধুনিক ওয়াটার টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। ওই ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন পানির মান নিয়ন্ত্রণ করে হচ্ছে। ৩টি ক্লিয়ার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে পরিশোধিত এ পানি মেইন ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে পাইপ লাইনস্থাপন করে শহরের ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি ওভার হেড ট্যাংকে আনা হচ্ছে।
স্থানগুলো হচ্ছে চরেরহাট, লবণচরা, নতুন বাজার, ছোট বয়রা, রায়ের মহল, বয়রা হাউজিং এবং দেয়ানা। বাকি ৩টি ওভারহেড ট্যাংক হচ্ছে বানিয়াখামার, মিরেরডাঙ্গা ও দৌলতপুরের পাবলা। এসব ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ওভার হেড ট্যাংকে পানি সরবারহে ৩শ’ মি.মি. থেকে ১২শ’ মি.মি. ব্যাসের ৩৩ কি.মি. ডাকটাইল আয়রণ পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ নেটওয়ার্ক’র মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাসের প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ হাজার বাসগৃহে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচলক মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ বলেন, খুলনা শহরের সুপেয় পানির সঙ্কট দীর্ঘদিনের। এ সঙ্কট নিরসনের লক্ষে এই অঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড়’ এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এরমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যার আওতায় রূপসার সামন্তসেনায় বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মিত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে সুপেয় পানি সরবারহ করা হচ্ছে। পানির চাপ পর্যাপ্ত থাকায় ২/৩ তলায় ট্যাংকিতে উঠানোর জন্য গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচের প্রয়োজন হচ্ছে না। সব সময়ই পানি পাওয়া যাচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নতমানের বিতরণ পাইপ স্থাপন করে পানির অপচয়ও কমানো সম্ভব হচ্ছে। যার সুফল পাচ্ছেন ৪০ হাজার গ্রাহক।

বরগুনার আলো