• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

দৃশ্যমান পদ্মা সেতু: ভাগ্য বদলের প্রতীক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২০  

স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলে বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার আর্থসামাজিক কাঠামো। ঘুরবে মানুষের ভাগ্যের চাকা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়কের সঙ্গে চালু হয়েছে ছয় লেনও। শুধু যোগাযোগই নয় নদীর দুই পাড়ে কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এমন স্বপ্ন বাস্তবে দেখার আশায় দিন গুনছেন এ অঞ্চলের কৃষক, যুবক, শ্রমিক, কর্মজীবী, ব্যবসায়ীসহ সবস্তরের মানুষ। মাদারীপুর থেকে জানাচ্ছেন সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ।

সড়কপথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটি ১৯৮৬ সালে চালু হয়, যা বর্তমানে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্থানান্তর করা হয়েছে। শীতে ঘন কুয়াশা, বর্ষায় তীব্র স্রোত ও গ্রীষ্মে নাব্য সংকটে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। যুগের পর যুগ চলছে এভাবেই। এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুনছেন। দৃশ্যমান পদ্মা সেতু।

পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে তারা ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় বরিশাল যেতে পারবেন। বর্তমানে ২ থেকে ৩ দিন ফেরিঘাটে বসে থাকতে হয়। খাওয়াদাওয়া, গোসল, ঘুম সবকিছুতেই কষ্ট করতে হয়। ব্রিজ চালু হলে সবকিছু শর্টকাটে হবে বলেও আশাবাদ এসব শ্রমিকের।

ঢাকায় সরাসরি উৎপাদিত পণ্য বিক্রির আশায় বুক বেঁধেছেন প্রান্তিক কৃষকরা। দক্ষিঞ্চালের কৃষকরা বলছেন, পদ্মা সেতু হলে আমরা সরাসরি সবজি ঢাকা নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।

এ পারে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ১৪ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক চালু হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সিক্সলেনও চালু রয়েছে। সেতুকে ঘিরে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা হেলথ্ টেকনোলজি, শেখ রাসেল আইটি পার্কসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা।

এলাকাবাসীরা বলছেন, পর্যটন নগরী, মিলকারখানা চালু হলে নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। উন্নত হবে এখানকার জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থান। ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। কাগজে-কলমে ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের লালিত স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু।

বরগুনার আলো