‘স্বপ্নের মতো ঘর পাইছি, সুখে আছি’
রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নীলফামারীর তরনীবাড়ী গ্রামের ময়না বেগমের দুই পা কেটে ফেলতে হয়। পরে স্বামী অন্যত্র বিয়ে করলে দুই মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে। অতিকষ্টে মেয়েদের বিয়ে দিলেও মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না তার। সেই ময়না বেগম এখন পলাশবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
ময়না বেগমের মতো ঠিকানাহীন খোলা আকাশের নিচ থেকে এখন এক টুকরো আপন ঠিকানা পেয়েছে ২৭টি পরিবার। যাদের মধ্যে চারজন প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষও পেয়েছেন জমিসহ ঘর। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর পেয়ে বদলে গেছে প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর জীবনমান।
উপজেলার দুবাছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে আরও ৭১টি পরিবারের। একসময় ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন এই মানুষগুলোর দিন কাটতো অনাহারে-অর্ধাহারে। তবে একটি নিরাপদ ঠিকানার চিন্তা দূর হওয়ায় বর্তমানে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করছেন তারা। কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ, কেউ সবজি চাষ, আবার খামার করেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
নীলফামারীর নটখানা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে একটি চালা ঘরে থাকতেন প্রতিবন্ধী ইকবাল হোসেন। নানা কষ্টে জর্জরিত ইকবালের ঠিকানা এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানে সুখে থাকার কথা জানিয়ে ইকবাল বলেন, আমি প্রতিবন্ধী। দুই পা চলে না। আগে মানুষের জায়গায় ছিলাম। সারাদিন কাজে-কামে একটু ঝগড়া, কথাকাটাকাটি হলে বের করে দিত। এখন সরকারের বাড়ি পাইছি। ভালো আছি। ঝগড়াঝাঁটি নাই। কেউ বেরও করে দেয় না। সারাদিন পর বাড়ি ফিরে রাতে শান্তিতে বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুমাই।
প্রতিবন্ধী ময়না বেগম বলেন, স্বামী খোঁজ নেয় না ২০ বছর। অন্য একখানে বিয়ে করছে। অনেক কষ্ট করে মেয়ে দুইটারে বিয়ে দিছি। বাবার বাড়িতে একটা পরিত্যক্ত ঘরে থাকতাম। অনেক কষ্ট করে দিন যাইত। সরকারের কাছে আবেদন করছি, একটা ঘর পাইছি। এখন শান্তিমতো এখানে থাকি। আমার জন্য অনেক ভালো হইছে। অনেক প্রতিবেশীও পাইছি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি যেন ভালো থাকে।
দুবাছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের রিক্তা বানু বলেন, এখানে কিছু জমি বন্ধক নিছি। সেই জমিতে সরিষা আবাদ করছি। সরিষা মোটামুটি ভালো হইছে। সরিষা বিক্রি করে কিছুটা লাভ হবে। ঘরের চালে সবজি লাগাইছি। আশপাশের ফাকা যায়গাগুলাতে রসুন ফলাইছি, বেগুন ফলাইছি। সুপারি গাছও লাগাইছি চারিদিকে। আগে তো নদীর এক কুল ভাঙলে, আরেক কুলে যাইতাম। এখন আর থাকার চিন্তা নাই, এখন কীভাবে উন্নতি করা যায় সে চিন্তা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা রণজিত রায় বলেন, দুই শতক জমি ছিল। মানুষ চালাকি করি রেকর্ড করে নিয়েছে। থাকার জায়গা ছিল না। এখন স্বপ্নের মতো ঘর পাইছি, সুখে আছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে প্রশাসন। তৈরি করা হচ্ছে নতুন আরও ১২০টি ঘর, এমনটিই জানালেন নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার।
তিনি বলেন, মুজিবশতবর্ষে ভূমিহীন অসহায় মানুষদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২০টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩১০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ১২০টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।
ইউএনও জেসমিন নাহার বলেন, যাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে তারা সবাই অসহায়, ভিক্ষুক, সমাজের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষ। এখন নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ায় তাদের মাথা থেকে নিরাপদ বাসস্থানের চিন্তা দূর হয়েছে। বর্তমানে তারা জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ খামার, কেউ শাকসবজি চাষ করে নিজেদের উন্নয়ন করছেন। তারা সবাই এ আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, জেলায় ৪ হাজার ৭২১ জন ভূমিহীনের মধ্যে ৪ হাজার ১০০ জনকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে নীলফামারীকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বরগুনার আলো- বরিশালের দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
- গ্রেপ্তার সেই পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জন কারাগারে
- প্রাথমিকের মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা নতুন পদনাম পাচ্ছেন
- বাংলাদেশ সফর করবে আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদল
- ৫০০ জনকে চাকরি দেবে দারাজ, কর্মস্থল নিজ জেলায়
- বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ২০০ জান্তা সেনার আত্মসমর্পণ
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- এমপিদের ভাতা নিয়ে মন্তব্য, ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
- প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা
- সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ৪৫০২ টাকা
- পিএসজিকে স্তব্ধ করে ১১ বছর পর ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ জন্মবার্ষিকী আজ
- নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকারের ৭ সিদ্ধান্ত
- জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা
- আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশের ১৩৯ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ
- আল্লাহর ভয় ও কান্না
- উপজেলা নির্বাচন :বরিশালে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ
- ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা
- প্রেশার কমে যাচ্ছে, যা করবেন
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ভাত নাকি রুটি খাবেন?
- সহজ রেসিপিতে কোল্ড কফি বানাবেন যেভাবে
- বুধবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- পুলিশের এসবি পরিচয়ে টাকা আদায়, জড়িত আনসার-কর্মকর্তারাও
- বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
- বজ্রপাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় কারিগরি ত্রুটি
- এসির গ্যাস লিক হতে পারে যেসব কারণে
- বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে কাজ করছি
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- সিনেমা হল ভেঙে হচ্ছে মাদরাসা
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
- সাজেকের পাহাড়ি খাদে ট্রাক, নিহত বেড়ে ৯