• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে না অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

 

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রাথমিক শিক্ষার আওতা বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। তবে আগামী দিনের প্রস্তুতি হিসেবে এখন ৫৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা চালু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়ায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হিসেবে ধরা হয়ছে। এই আইন পাস হলে প্রাথমিক শিক্ষা আর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার সুযোগ থাকবে না।

শিক্ষা আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এ ছাড়া এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপিল ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী হবে।

জানা যায়, শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়া নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক সভা হয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে। ৫৮টি ধারাসংবলিত খসড়া পর্যালোচনা করা হয় ওই সভায়, যদিও গত কয়েক বছরে একাধিকবার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এমনকি একবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পরও তা ফেরত পাঠানো হয়।

শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়ার ৯ ধারার ২(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত হবে মাধ্যমিক স্তর। (খ) উপধারায় বলা হয়েছে, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্তর।

অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর ৫ নম্বর পৃষ্ঠায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাকাঠামোয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর হিসেবে বিবেচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষা আইনের খসড়া যেভাবে আছে সেটা পাস হলে তা হবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। আর সে লক্ষ্যেই সবার সম্মতিতে শিক্ষানীতিতে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে নতুন আইন পাস হলে প্রাথমিক শিক্ষা আর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষা আইনের একটি খসড়া পেয়েছি। তা আরো যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর নিয়মানুযায়ী তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।’

শিক্ষা আইনের খসড়ার ২৬ ধারার ১ ও ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই, গাইড বই কেনা বা পাঠে বাধ্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একাধিক অভিভাবক বলছেন, নোট বা গাইড নামে কোনো বই বাজারে নেই। এখন আছে প্র্যাকটিস বুক সহায়ক বই। দুর্বোধ্য সৃজনশীল, শিক্ষকদের অদক্ষতাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীরা সহায়ক বইয়ের আশ্রয় নেয়। কারণ শিক্ষকরাও অনেক কিছু বোঝেন না। আবার ৭০ থেকে ৮০ জনের ক্লাসে শিক্ষকদের কিছু বোঝানোও সম্ভব হয় না। এমনকি যাদের পক্ষে বেশি প্রাইভেট বা কোচিং করা সম্ভব হয় না তাদের একমাত্র আশ্রয় সহায়ক বই। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথ পড়ালেখা নিশ্চিত না করার আগ পর্যন্ত এই বই নিষিদ্ধ করা হলে বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা আছে। 

খসড়া আইনের ২৬ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। বিদেশি পাঠক্রমে পরিচালিত স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসা পরিচালনায়ও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে।

তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় অর্ধলাখ কিন্ডারগার্টেন আছে, যাতে কয়েক লাখ শিশু পড়ালেখা করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে সেগুলো বেশি জনপ্রিয়। ওগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। তারা পাঠ্য বই পায়, নিজ স্কুলের নামে পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারে। শিক্ষা আইন পাস হলে তাদের কী হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

খসড়ার ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে অভিভাবকদের সম্মতিতে স্কুলের আগে বা পরে নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাস করাতে পারবেন। তবে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস কমলেও নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় হরহামেশাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখনো কাউকেই বড় কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। তাই শিক্ষা আইনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের শাস্তি কঠোর করা উচিত।

বরগুনার আলো