সরকারকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি ও জামায়াতের দূরত্বের খেলা

রাজনৈতিক স্বার্থে আন্তর্জাতিক কিছু চক্রের পরামর্শে বিএনপি কৌশলে জামায়াতের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। মূলত সরকারকে বিভ্রান্ত করতে এবং গোপনে নিজেদের শক্তিশালী করে পুনরায় সরকারের উপর চড়াও হতে বিএনপি ও জামায়াত অভিমানের লোক দেখানো রাজনৈতিক খেলা খেলছে। বিএনপি-জামায়াতের চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অন্তরালের গভীর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ঠিক এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, বাইরে বাইরে বিএনপি ও জামায়াত একে অপরকে এড়িয়ে চললেও লোকচক্ষুর আড়ালে দল দুটির নেতারা ঠিকই একসাথে কাজ করছেন। তাদের এই কৌশলে সরকারকে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেছেন তারা।

বিএনপি ও জামায়াতের দৃশ্যমান দূরত্ব এবং নতুন রাজনৈতিক চক্রান্তের বিষয়ে সকলকে সাবধান থাকার অনুরোধ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে লোক দেখানো টানাপোড়ন চলছে। যতদূর জানতে পেরেছি, বিদেশি পরামর্শক ও সরকারবিরোধী চক্রগুলোর অনুরোধেই বিএনপি-জামায়াত অভিমানের রাজনীতি করছে। আমার ধারণা, সরকারকে বিভ্রান্ত করতে জেনেবুঝেই এমনটা করছে বিএনপি ও জামায়াতের হাইকমান্ড।

তিনি আরো বলেন, সরকার ও জনগণকে ভুল ম্যাসেজ দিয়ে গোপনে কঠোর দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে দল দুটি। জনবল ও অর্থের জন্য বিএনপি কোনদিন জামায়াতকে ছাড়বে না। এটি সকলেই জানে। সুতরাং তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। পাশাপাশি জনগণকেও বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

এদিকে জামায়াতের সাথে বিচ্ছেদ ও দূরত্ব নিয়ে চলমান গুঞ্জন এবং সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপির উচিত হবে জামায়াতের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করা। প্রকাশ্যে দূরত্ব দেখিয়ে গোপনে যোগাযোগ রাখলে বিএনপিকে মানুষ জামায়াতের পোষ্য বলেই গালি দিবে। এখনই তো অনেকে বলেন জামায়াতের ফান্ডিং কমিয়ে দেয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি। সুতরাং রাজনীতিতে হারানো গৌরব ফিরে পেতে হলে বিএনপিকে স্বচ্ছ রাজনীতি করতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং জামায়াতের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হবে। রাজনীতিতে প্রতারকদের কোন স্থান নেই, সেটি বিএনপিকে অবশ্যই বুঝতে হবে।