• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

ওয়াদা ঠিক রাখা-না রাখার লাভ ও ক্ষতি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২১  

ওয়াদা করে তা পূর্ণ করাই ইসলামের বিধান এবং সাওয়াবের কাজ। আর ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা গোনাহের কাজ। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ওয়াদা ঠিক রাখা-না রাখা উভয় বিষয়ের লাভ ও ক্ষতির বিষয়টি সুস্পষ্টভাষায় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ - إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً أُوْلَـئِكَ لاَ خَلاَقَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ وَلاَ يُكَلِّمُهُمُ اللّهُ وَلاَ يَنظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘যে লোক নিজ (ওয়াদা) প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করবে এবং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য বিনিময়ে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। আর তাদের সঙ্গে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও দেবেন না। আর তাদের পরিশুদ্ধও করবেন না। বস্তুত তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। (সুরা ইমরান : আয়াত ৭৬-৭৭)

আয়াতের সার সংক্ষেপ
আল্লাহ তাআলা এ দুই আয়াতের একটিতে ওয়াদা ঠিক রাখার ফজিলত এবং অন্যটিতে ভঙ্গ করার নিন্দা ও শাস্তির বিবরণ বর্ণনা করেছেন। আগের কিছু আয়াতে ইয়াহুদিদের প্রতারণা ও মিথ্যা দাবির কিছু বিষয় তুলে ধরা ধরেছেন।

প্রকৃতপক্ষে নৈতিক উন্নতি ও উত্তম আচরণের মূলভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া। আর তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ই মানুষকে প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে আগ্রহী করে তোলে। তাই ওয়াদা তথা প্রতিজ্ঞা সৃষ্টির সঙ্গে হোক আর স্রষ্টার সঙ্গে হোক তা পূর্ণ করা আবশ্যক ও ফজিলতপূর্ণ কাজ। আল্লাহ তাআলা এদের বেশি ভালোবাসেন।

পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার স্বার্থে ওয়াদা ভঙ্গকারীদের নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন। দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের কাছে পরাজয় বরণ করে ওয়াদা ভঙ্গ করলে এর ক্ষতিও মরাত্মক। এ আয়াতে ৫ ধরনের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আর তাহলো-
- ওয়াদা ভঙ্গকারীর জান্নাতের নেয়ামতে কোনো অংশ নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ দ্বারা কোনো মুসলমানের অধিকার নষ্ট করে, সে নিজের জন্য জাহান্নামের শাস্তিকে অপরিহার্য করে নেয়। বর্ণনাকারী বলেন, যদি বিষয়টি সামান্য হয় তবুও কি জাহান্নামের শাস্তি অপরিহার্য? তিনি বললেন, ‘তা গাছের একটা তাজা ডালই হোক না কেন।’ (মুসলিম)

- ওয়াদা ভঙ্গকারীর সঙ্গে আল্লাহ অনুকম্পাসূচক কথা বলবেন না।
- কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ওয়াদা ভঙ্গকারীর দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
- আল্লাহ তআলা ওয়াদা ভঙ্গকারীর গোনাহ ক্ষমা করবেন না। কেননা অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে বান্দার হক নষ্ট হয়। আর বান্দার হক আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।
- ওয়াদা ভঙ্গকারীর জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (তাফসিরে জালালাইন ও মারেফুল কুরআন)

আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট
খোলাসাতুত তাফসিরের তথ্য মতে, একবার মদিনায় ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কয়েকজন ইয়াহুদি সে সময় মুসলমান হয়ে যায়। তারা কাব ইবনে আশরাফের কাছে যায়। সে ছিল ইয়াহুদিদের সরদার। তারা তার কাছে সাহায্যের আবেদন করে।
কাব ইবনে আশরাফ বলল, যে লোকটি নবুয়তের দাবি করছে, তার ব্যাপারে তোমাদের মন্তব্য কী? তারা উত্তরে বলল, তিনি আল্লাহর নবি এবং তাঁর বান্দা।
কাব ইবনে আশরাফ এ কথা শুনে বলল, তোমরা আমার কাছে কিছুই পাবে না।
নব মুসলিম ইয়াহুদিরা বলল, এ কথা আমরা এমনিতেই বলেছিলাম। আপনি আমাদের অবকাশ দিন; আমরা ভেবে-চিন্তে জবাব দেব।
কিছু সময় পর তারা এসে জানাল, ‘মুহাম্মাদ শেষ নবি নয়। কাব ইবনে আশরাফ তাদের শপথ করতে বললে তারা এ ব্যাপারে শপথ করতে দ্বিধাবোধ করল না।
তারপর কাব ইবনে আশরাফ তাদের প্রত্যেককে ৫ সা যব এবং ৮ গজ করে কাপড় দেয়। উল্লেখিত আয়াতটি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজিল হয়।

বরগুনার আলো