• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা চড়িয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সলঙ্গার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া শিকার গ্রামে প্রবেশ করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকবাহিনী হানাদার বাহিনী।

সিরাজগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী সোহরাব আলী সরকার জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল আরিচা-নগরবাড়ী ফেরি পার হওয়ার পর পাবনা-বগুড়া সড়ক দিয়ে আসছিল পাকসেনারা। গোপন খবর পেয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী ও চড়িয়া গ্রামের যুবকরা পাকসেনাদের প্রবেশপথে বাঁধা দিতে রাস্তার ওপর বেশ কয়েকটি গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখেন। বাঁধা পেয়ে পাকসেনারা সেখানে থেমেই অতর্কিতভাবে মর্টার সেল ছুঁড়তে শুরু করে। শেল ফাটার শব্দে এলাকায় মহা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় চড়িয়া, পাটধারী ও হরিপুর গ্রামের মানুষ প্রাণের ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকেন।

পাকিস্তানি সেনারা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাড়ায়-মহল্লায় হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে কিছু মানুষ দিশেহারা হয়ে চড়িয়া শিকার কালিবাড়ীর দক্ষিণে মাঠের মধ্যে আশ্রয় নেন।
হানাদার বাহিনী সেখানে গিয়েও হামলা চালায়। পাক সেনারা দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে চড়িয়া কালিবাড়ীর দিকে যায়। সেখানে হিন্দুপাড়ার ১৫ জনকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। কালিবাড়ী হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ও অগ্নিসংযোগের পর চড়িয়া মধ্যপাড়ার দিকে অগ্রসর হয় হানাদার বাহিনী। পরে সেখানেও কবরস্থান ও জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা ৫০/৬০ জন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়। এদিন প্রায় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষকে হত্যা করে পাকসেনারা। পরদিন বিকেলে কিছু লাশ জানাজা ছাড়াই মাটিচাপা দেওয়া হয়। আর অধিকাংশ শেয়াল কুকুর ও শকুনের খাদ্যে পরিণত হয় বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সামাদ বলেন, মর্মান্তিক ওই হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী আমি। তখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। ওই সময় পাকিস্তানি আর্মিরা গ্রামে ঢুকে শুধু বলে কাশিনাথপুর কিধার হ্যায়। বলেই গুলিবর্ষণ করতে থাকে। একজন বাঁচার জন্য কোরআন শরীফ বুকে নিয়ে দাঁড়ায়। সেই যুবককেও গুলি করে মারে তারা।

চড়িয়া জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম বলেন, ঐতিহাসিক চড়িয়া গণহত্যা দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় দোয়া, মিলাদ ও কোরআন তেলওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।

বরগুনার আলো