• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান

কমছে ইলিশের দাম

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯  

দেশের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদের পর অন্যসব মাছের দাম চড়া। এ অবস্থায় ইলিশের দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বিক্রেতারা বলছেন, এবার উপকূলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।

সরেজমিন শনিবার সকালে মাছের পাইকারি আড়ত সোয়ারীঘাট গিয়ে দেখা গেছে, পাইকার ও আড়তদাররা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ইলিশ হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন। প্রতিটি আড়তে খুচরা বিক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দর কষাকষি করে এসব ইলিশ কিনছেন রাজধানীসহ আশপাশ থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি হালি (এক কেজি) ইলিশ পাইকারি দরে ৩৪০০-৩৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে- যা গত সপ্তাহে ৪০০০-৪২০০ টাকায় বিক্রি হয়। ৮০০ গ্রামের এক হালি ২২০০-২৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে- যা গত সপ্তাহে ২৬০০-২৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর ৬০০-৭০০ গ্রামের প্রতি হালি পাইকারি দরে ১৬০০-১৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে- যা গত সপ্তাহে ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়। এখানকার পাইকারি মাছ বিক্রেতা মো. আল-আমিল বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ বেশি। তাই দাম কমতে শুরু করেছে। আর এমন অবস্থা থাকলে দাম আরও কমবে। সোয়ারীঘাটে মাছ কিনতে আসা নয়াবাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশ অনেক বেশি। এ কারণে দাম কমছে।

আর আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব। অন্যদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার ও মালিবাগে মাছের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মাসের তুলনায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে।

দাম কম হওয়ায় সাধারণ ভোক্তাদের ইলিশের প্রতি ঝোঁক বেশি দেখা গেছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার ইলিশের দাম কম। সরবরাহও প্রচুর। এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গত সপ্তাহে ছিল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়- যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০০ টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে- যা আগে ছিল ৬০০ টাকা।

৪০০ গ্রাম ও তার চেয়ে কম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা ইলিশের দাম কম।

কিন্তু বরিশাল ও চাঁদপুর থেকে আসা ইলিশের দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, অনেকে দাম কম দেখে অতিরিক্ত মাছ কিনে মজুদ করেন। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হলে বেশি দামে বিক্রি করবে।

ইলিশের দাম কম থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে মাছ কিনতে আসা হাকিম বলেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। দামও কিছুটা কম।

তাই তিন হালি নিয়ে যাচ্ছি। তবে সরবরাহ অনুযায়ী দাম আরও কম হওয়ার কথা ছিল। দেখা যাচ্ছে বিক্রেতারা একজোট হয়ে মাছ বিক্রি করছেন। সবাই এক দামে মাছ বিক্রি করছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারে মাছ কিনতে আসা লাবণী আক্তার বলেন, বাজারে যেভাবে ইলিশ উঠেছে তা দেখতেই ভালো লাগছে। নির্ধারিত সময়ে জেলেরা ইলিশ না ধরলে বাজারে ইলিশের অভাব হবে না। আর আমরাও একটু কম মূল্যে ভালো মাছ কিনতে পারব। তিনি বলেন, এখন নিুবিত্ত মানুষও ইলিশ কিনছেন। অথচ আগে মধ্যবিত্তের জন্যও ইলিশ কেনা দায় হতো।

বরগুনার আলো