• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

শহীদ মিনারের রূপকার হামিদুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

জাতীয় শহীদ মিনারের রূপকার, একুশে পদকজয়ী স্থপতি ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে হামিদুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ১৯২৮ সালে পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা ফকির মোহাম্মদ এবং পিতামহ মির্জা আবদুল কাদের সরদার। তিনি ঢাকা আর্টস স্কুল (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রকলার উপর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ও পরবর্তীকালে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যান। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চিত্রকলার উপরে উচ্চশিক্ষার্থে ইউরোপ যান।

প্যারিসের ইকোল দ্যা বোজ আর্টস শিক্ষাগ্রহণ করেন এ শিল্পী। এরপরে লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৫৮ সালে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৫৯-১৯৬০ পর্যন্ত তিনি পেনসিলভিয়া অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস চিত্রকলা বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত ছিলেন।

হামিদুর রহমানকে শহীদ মিনারের নকশা করার কাজ দেয়ার পর থেকেই তিনি ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্রীয়ভাবে ধারণ করে এমন কোন নকশা করতে চেয়েছিলেন। তিনি অনুভূমিক ও উল্লম্ব আকারের কাঠামোর মাধ্যমে পুরো বাঙালির পরিচয়কে বের করে আনতে চেয়েছিলেন।

কেন্দ্রীয় কাঠামোর উভয়দিকে চারটি স্তম্ভের মাধ্যমে একটি একত্রীত স্তম্ভের ভারসাম্য এবং সাদৃশ্য রক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। প্রকৃত নকশাতে তিনি স্টেইনড কাচের মধ্যে হাজারো চোখের ন্যায় গঠনও এঁকেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে সূর্যালোক এসে সামনের মর্মরখচিত মেঝেকে ভোর থেকে গোধূলী পর্যন্ত আলোকিত করে রাখবে। এর বেসমেন্টে তিনি ১৫০০ বর্গফুটের একটি ফ্রেস্কোর কাজও করতে চেয়েছিলেন।

হামিদুর রহমানের রূপকল্পনা অনুসারে ১৯৬২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি কিছুটা পরিবর্তিত আকারেই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ আরম্ভ হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়।

১৯৮০ সালে হামিদুর রহমান একুশে পদক লাভ করেন। শিল্পচর্চায় অবদানের ফলে হামিদুর রহমান দেশে-বিদেশে পুরস্কৃত ও সম্মানিত হয়েছেন।

বরগুনার আলো