• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

এক ঘরেই ৮৭ নদীর পানি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২০  

এশিয়া মহাদেশের একমাত্র পানি জাদুঘর। যেখানে একটি ঘরে দাঁড়িয়ে দেখা যায় দেশি-বিদেশি ৮৭ নদীর পানি। এসব পানি রাখা হয়েছে স্বচ্ছ কাচের জারে। শুধু পানি দেখাই নয়; ওই সব নদীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণাও পাওয়া যাবে এ জাদুঘরে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির পাখিমারা গ্রামে ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ জাদুঘর স্থাপন করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। জাদুঘরের সামনে বালুর ওপর স্থাপন করা রয়েছে একটি নৌকা। এতে মানবসৃষ্ট নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া নদীতে নৌকা আটকে থাকার বাস্তব ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ঘরটির দোতলায় প্রায় ৫০০ বর্গফুটের পানি জাদুঘরের বিভিন্ন স্থানে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নদীর পানি ও গ্রামীণ বাংলার মানুষের জীবিকা অর্জনের নানা উপকরণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাছ শিকারের ঝাঁকি, জাল, খুচনি জাল, নৌকা, চাঁই, পল্লা, কাঁকড়া শিকারের চাঁই ও তাঁত বোনার মেশিন।

কৃষিজমির উত্পাদিত ফসল সংরক্ষণের জন্য মাটির তৈরি মাইড, বাঁশের তৈরি ডোলা, মুড়ি ভাজার তলছা, ঝারড়া, মাটির তৈরি খাদ্য রান্নার হাঁড়ি-পাতিল, খাবারের থালা-বাসন, পিতলের তৈরি থালা, বাটি, বদনা, মগসহ নানা উপকরণ। দেয়ালে শোভা পেয়েছে দেশীয় খাল, নদ-নদীর ছবি, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জেলে, কুমার, তাঁতিসহ সর্বস্তরের মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের নানা দৃশ্য।

পানি জাদুঘরে রয়েছে দেশের সাতশ নদীর ইতহাস, পানি, ছবি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চিত্রসহ বিভিন্ন তথ্য। এছাড়া রয়েছে দেশের সঙ্গে ৫৭টি বিদেশি অভিন্ন নদীর ইতিহাস।

কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের প্রধান অকর্ষণ পানি জাদুঘর। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘর। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দশ টাকা।

দর্শনার্থী কাজী আল-আমিন বলেন, এ জাদুঘরে এসে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। নদীর নাব্যতা রক্ষায় আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এখান থেকে সে অনুপ্রেরণা নিয়ে গেলাম।

গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় প্রায় সাতশ নদী রয়েছে। একশ বছর আগে এর সংখ্যা ছিল প্রায় দ্বিগুণ। এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যেরও পরিবর্তন হয়েছে।

এনজিও আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়সহ নানা কারণে নদী মরে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। আমরা নদী বাঁচাতে চাই। সে কারণেই পানি জাদুঘর স্থাপন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ জাদুঘর নতুন প্রজন্মকে সচেতন করবে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন গবেষণার বই, নদী ও পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত জীবন নিয়ে তৈরি গল্প চিত্র। এ জাদুঘরে এলে একজন মানুষ নদী সম্পর্কে সব জানতে পারবে।

বরগুনার আলো