• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফেরাতে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ ফিরিয়ে আনতে তৎপর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এজন্য বেড়েছে গবেষণা। এরই মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ২৪ প্রজাতির দেশি মাছ ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট। আর এ মাছগুলো সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জিন ব্যাংক। 

মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে, বিলুপ্ত হতে বসা আরও বেশ কিছু প্রজাতির মাছ শিগগিরই মানুষের পাতে উঠবে। খাল-বিল-নদীর এই দেশে শুধু মিঠা পানির মাছই প্রায় ৩শ’ প্রজাতির। এছাড়া সাগরের মাছতো আছেই। কিন্তু নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশি প্রজাতির মাছ।

এরই মধ্যে মিঠা পানির ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। তবে হারিয়ে যেতে বসা মাছগুলোকে ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট। লাইভ জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ২৪ প্রজাতির বিলুপ্ত মাছ আবার ফিরে এসেছে। 

ফিরিয়ে আনা মাছগুলো হলো: পাবদা, গোলশা, টেংরা, দেশি কৈ, শিং, মাগুর, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, মহাশোল, সরপুটি, মেনি, বালাচাটা, গুতুম, ভাগনা, খলিশা, বাটা, কাল বাউশ, গজার, গনিয়া, বৈরালি ও আঙ্গুস। 

দেশে মিঠা পানির ১৪৩ প্রজাতির ছোট মাছের সবগুলোই লাইভ জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করবে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, ১৪৩টি দেশীয় ছোট মাছ আছে আমাদের। এগুলোর সবই জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত করবো। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, কোন মাছ যদি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায় তাহলে এই জিন ব্যাংকের মাছগুলোকে ব্যবহার করে চাষাবাদের আওতায় আনবো। আর এর মাধ্যমে মাছগুলো সুরক্ষা করতে পারবো।

লাইভ জিন ব্যাংকে ৮০টি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করে রাখা আছে। তবে দেশি প্রজাতির সব মাছই রাখার পরিকল্পনা ইন্সটিটিউটের। 

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ আরও জানান, প্রায় ৮০টির মতো মাছ আমাদের কাছে আছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সকল দেশীয় মাছকে আমরা সংগ্রহ করে এখানে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করবো।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশের যেখানেই কোনো মাছ বিলুপ্তির পথে থাকবে সেখানেই লাইভ জিন ব্যাংক থেকে মাছ দেয়া হবে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা মাছের জিন ব্যাংক করেছি। বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার ভেতর থেকে এর জিন তৈরি করছি এবং সেই জিনগুলো এখন প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি। কোনও প্রজাতির মাছ কোন অঞ্চল থেকে হারিয়ে যায় আমরা এখান থেকে বাচ্চা দিয়ে দিব। এই বাচ্চা যেখানে ছাড়া হবে সেখানে বড় হয়ে যাবে।

আবার ফিরে আসা দেশি প্রজাতির এসব মাছ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে। 

বরগুনার আলো