• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

অফিস-আদালতে

জাতির পিতার ছবি পিছনে নয় সামনে ঝুলাতে হবে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

গণতন্ত্রের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বিশ্বস্ততা। সম্প্রতি সুইডেনের রাজনৈতিক দলগুলো এবং এর প্রধানদের বিভিন্ন কার্যকলাপের বিশ্বস্ততার ওপর একটি জরিপ করা হয়েছে। তবে যদি কোন একটি দেশের সমগ্র পরিকাঠামোতে বিশ্বস্ততার অভাব থাকে তখন এ ধরণের জরিপ গ্রহণযোগ্য হয় না। জরিপ সেখানেই সম্ভব যেখানে সত্যিকারের গণতন্ত্রের বেস্ট প্র্যাকটিস হয়ে থাকে। সুইডেন গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাসী। তাই এখানে এ ধরণের জরিপ মাঝে মধ্যে হয়।

এবারের জরিপে দেখা গেল সুইডেনের ছোট একটি রাজনৈতিক দল ভেন্সটার পার্টির নেতা Jonas Sjöstedt বিশ্বস্ততার শীর্ষে। দলটি ছোট হলেও এর নেতার ওপর জনগণ সবচেয়ে বেশি আস্থাশীল। অন্যদিকে ইসভেরিয়ে ডেমোক্রেট দলের নেতা Jimmi Åkesson কোভিড-১৯ এর ওপর বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা, দায়ভার এবং অসচেতনতার ওপর প্রথম থেকেই কড়া সমালোচনা করে আসছে।

কেউ অসুস্থ হলে বা সাধারণ সর্দি জ্বর হলে তাদেরকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছে। কিন্তু কয়েক দিন আগে Jimmi Åkesson অসুস্থ অবস্থায় সংসদে এসে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা খেয়েছে। সেইসঙ্গে তার ওয়াক এজ ইউ টক কনসেপ্টেরও বারোটা বাজিয়েছে। তার নেতৃত্ব এখন প্রশ্নের সম্মুখীন।

মজার ব্যাপার হলো একটি সৃজনশীল সমাজ বা দেশে এই ভাবেই রাজনীতিবিদদের কর্মের ওপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাংবাদিকরা কড়া নজর রাখেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেমন বাকস্বাধীনতা থাকা দরকার ঠিক তেমনিভাবে সাংবাদিকদের মোড়াল ভ্যালু, সঠিক তথ্য যুক্তিযুক্তভাবে প্রকাশ করার মতো পরিবেশ এবং দক্ষতা থাকতে হবে। সুইডেন বা সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে এ দিকগুলোর ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়।

এখন আমি যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সঙ্গে এখানকার সব বিষয়ে তুলনা করি সেটা বেমানান হবে। কারণ বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ পরিকাঠামো এসব দেশের মতো করে এখনও গড়ে ওঠেনি। তারপরও আমি বিষয়টি তুলে ধরছি ভালো কিছু জানা এবং শেখার জন্য। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য লার্নিং ফ্রম লার্নার এবং লার্নিং বাই ডুইং কনসেপ্ট এর ব্যবহার শেখা খুবই জরুরি।

এখন অতীতের চিন্তাচেতনা বা সংবিধানের নিয়ম কানুনকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার সময় এসেছে। বাংলাদেশের উচিত হবে পুরাতন ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের আইন কানুনের অবসান ঘটিয়ে দেশের চাহিদা অনুযায়ী নতুন আইন তৈরি এবং তার ব্যবহার বাড়ানো। আইন ব্যবস্থার ওপর কড়া নজর দিতে হবে যেন এটা সবার জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য হয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমাতে হবে।

সবাইকে কোয়ালিটি লাইফের আওতায় আনতে হবে। গ্লোবালাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের যুগে যুগোপযোগী কোয়ালিটি লাইফ পেতে হলে পরিবর্তনের বিকল্প নাই।
প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। দুর্নীতির অবসান ঘটাতে ক্যাশ টাকার ব্যবহার বন্ধ করে কার্ডের মাধ্যমে কেনাবেচা বাড়াতে হবে।

শিক্ষাকে ভিজুয়ালিজম এবং অন দি জব ট্রেনিংয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে। যাকে বলা যেতে পারে লার্নিং বাই ডুইং এবং লার্ন ফ্রম লার্নার কনসেপ্টে জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্টাডি লোন দিতে হবে যাতে করে তারা বাবা মার ওপর নির্ভরশীল না থাকে।

সরকারি কর্মীদের জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে একটি গ্রহণযোগ্য বেতন দিতে হবে। সবাই যেন ট্যাক্স পে করে সেদিকে নজর দিতে হবে। শুধু বেতন বাড়ালেই বা সুযোগ সুবিধা দিলেই হবে না। সকল কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে তারা সব সময়ের জন্য নিয়োগযোগ্য থাকে।

অন্যান্য ভাষার তুলনায় বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাতে করে জন্মভূমির প্রতি সকলের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। সুইডেনে যেমন সামান্য ক্লিনার পদে কাজ করতে গেলেও তারা প্রথমে জিজ্ঞেস করবে সুইডিশ ভাষা জানা আছে কিনা। একজন বিদেশি তার মাতৃভাষার পাশাপাশি আরও দুই-তিনটি ভাষা জানা সত্বেও তাকে সুইডিশ জানতেই হবে।

সর্বোপরি গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস এবং জনগণের মূল্যায়ন করতে হবে। এগ্রি টু ডিজএগ্রি কনসেপ্টের ওপর রেসপেক্ট বাড়াতে হবে।

একটি বিষয়ের প্রতি সবার একমত পোষণ করতে হবে- সেটা হলো জাতির পিতা এবং জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোন দ্বিমত পোষণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে প্রেসিডেন্ট বা মন্ত্রী আসবে যাবে তবে জাতির পিতা একটি দেশে একজনই থাকেন। জাতির পিতার ছবি অফিস-আদালতে কর্মীদের পিছনে নয় সামনে ঝুলাতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি সিদ্ধান্ত তাকে এবং তার স্বপ্নকে মনে করিয়ে দিবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সিদ্ধান্তে আমরা যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি এবং এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করছি।

বরগুনার আলো