• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সিএমএইচের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার ছেলে সুমন মাহমুদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিলো তার। পরে করোনামুক্ত হলেও ৭১ বছর বয়সী মাহবুবে আলম আর অসুস্থতার সঙ্গে পেরে ওঠেননি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে দ্রুত আইউসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) তার পরিবার জানিয়েছিল, করোনামুক্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস ও হৃদরোগের ধাক্কা নিতে পারেনি প্রবীণ এই আইনজীবী।

১৯৭৫ সাল থেকে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত মাহবুবে আলম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সভাপতির পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন । ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পাঁচ বছর পূর্ণ হয় তার। এরপর আরেক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে এই পদে বহাল রাখা হয়। আমৃত্যু তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ মেয়াদে আর কোনো অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের রেকর্ড নেই।

১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্ম মাহবুবে আলমের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রিও নেন তিনি। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট হিসেবে নিবন্ধিত হন মাহবুবে আলম। পরে ১৯৭৫ সাল থেকে হাইকোর্টে কর্মরত তিনি। পরে ১৯৮০ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্র্যাকটিসের অনুমতি পান। এর মধ্যে নয়া দিল্লির ইনস্টিটিউট অব কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড পার্লামেন্টারি স্টাডিজ থেকে সংবিধান ও সংসদীয় আইন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন।

কর্মজীবনে দক্ষতা ও সাফল্যে মাহবুবে আলম ‘সিনিয়র অ্যাডভোকেট’ হিসেবে স্বীকৃতি পান ১৯৯৮ সালে। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৩-৯৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৫-০৬ মেয়াদে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবে আলম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা; সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলা; বিশেষ করে কাদের মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান, আলী আহসান মুজাহিদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মামলা; পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলা রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেছেন মাহবুবে আলম।

বরগুনার আলো