ঈদের পরে উচ্চ সংক্রমণের শঙ্কা!
ঈদের পর আবারও দেশে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই মার্কেটে-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় এবং ঈদে ঘরমুখো জোয়ার মিলে এই ভয়কে বড় করে তুলছে। এর মধ্যে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ সেই শঙ্কাকে আরও তীব্র করে তুলছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে করোনা টেস্ট এবং সেই এলাকার যানবাহন যাতে অন্য এলাকায় যেতে না পারে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শরীরে রোগ-জীবাণু প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী যে সময়কাল সেটাকে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড। করোনার বেলায় এটা দুই দিন থেকে ১৪ দিন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এই সময়ের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। গত ২৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল। প্রথম কয়েকদিন ক্রেতাদের চাপ কম হলেও পাঁচ দিন পর থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেটে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সেখানে নেই সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি পালনের লক্ষণ। সেটির একটি প্রভাব ১৪ দিন পর পড়তে পারে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরার হিড়িক। গত ২ মে থেকে দেশের ফেরিঘাটগুলোতে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের চাপ। জনস্রোত ঠেকাতে ফেরি বন্ধ ঘোষণা করে শুধু মালবাহী পণ্য নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তাতেও বাধে বিপত্তি। জনস্রোত ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে আবার ফেরি চালু করে দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যে কোনও উপায়ে ঢাকা ছাড়ছেন। কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপে কিংবা অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যের দিকে।
শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
দেশে করোনার সর্বাধিক সংক্রমণ ছিল গত মার্চ-এপ্রিল মাসে। ফেব্রুয়ারিতে করোনা সংক্রমণের হার দুই শতাংশে নেমে আসলেও মার্চে তা দাঁড়ায় ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। এযাবৎ কালের সর্বাধিক সংক্রমণের হার ছিল গত আগস্টে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বাধিক শনাক্ত হয় ৭ এপ্রিল। সেটি ছিল সাত হাজার ৬২৬ জন। সর্বাধিক মৃত্যু ছিল ১১২ জন, গত ১৯ এপ্রিল। মার্চে মোট শনাক্ত ছিল ৬৫ হাজার এবং এপ্রিলে প্রায় দেড় লাখ। আর মার্চ থেকে এপ্রিলে মৃত্যু ছিল চারগুণ বেশি।
সেসময় হাসপাতালে চাপ পড়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। ঢাকার প্রায় সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ ছিল পূর্ণ। সেটি আবার স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে এপ্রিলের শেষে। সংক্রমণের হার বর্তমানে ১০ শতাংশের নিচে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক
সম্প্রতি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি-১৬১৭। ছয় জনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয় গত ৫ অক্টোবর। সম্প্রতি এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের। সেদিক চিন্তা করে দেশের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১০ মে) দেশের চারটি সীমান্ত এলাকার বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠককালে মন্ত্রী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রতিদিন হাজারও মানুষ মারা যাচ্ছে। ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন নেপালে ছড়িয়ে গিয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এই রকম ক্রিটিকাল সময়ে এই ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যবিদদের শঙ্কা
উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন দেশের জনস্বাস্থ্যবিদরাও। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় সংক্রমণ একটু বাড়বে। তৃতীয় ঢেউ হবে কি না সেটা এখন বলা যাবে না। এখন সাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যে ক্ষতি তা হবে আমাদের। সেটা আমরা ১৫ দিন পর দেখতে পারবো। ১৫ দিন পর বাড়বে সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউ বলতে গেলে অনেক কিছু হিসেব নিকেশ করে বলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি আমরা ইচ্ছা করলে ঠেকাতে পারতাম। আমরা যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারতাম তাহলে হতো। মানুষ প্রতিবারই ঈদে বাড়ি যায়। সেটি কি বন্ধ করা যাবে? শুধু মুখে বাড়ি যেতে নিষেধ করলেই কি মানুষ শুনবে? এরকম হয় না। বাস বন্ধ করে দিলে মানুষ বাড়ি যাবে না এমন চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলে দেখা যাচ্ছে অন্য ব্যবস্থায় মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। উদ্দেশ্য যদি করোনা ঠেকানো হয় তাহলে বাস বন্ধ করার কি দরকার ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালানো গেল না? সব করা যায় কিন্তু বাসের স্বাস্থ্যবিধি চালু করা যায় না?’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ঈদের পরে হয়তো অনেক বেশি সংক্রমণ দেখা যাবে না। কিন্তু এটার ঝুঁকি তৈরি করবে সামনের দিনগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার। তারপর যদি লকডাউন উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা একটা ঊর্ধ্বগতি দেখবো। এর সঙ্গে যদি আবার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যুক্ত হয় তাহলে মনে হয় আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে যাবে।’
বরগুনার আলো- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- সিনেমা হল ভেঙে হচ্ছে মাদরাসা
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে