• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার নিরন্তর প্রেরণা মুজিবনগর সরকার

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২  

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুজিব নগর সরকার ইতিহাসের অনন্য এক অধ্যায়। একাত্তরের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় শপথ নেন এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এর আগে ১০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সুদূরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষেপই ছিল মুজিবনগর সরকারের শপথ।

২৫ মার্চ পাক হানাদাররা নিরস্ত্র বাঙালির উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালালে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। তবে তা ছিলো একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থায় যুদ্ধ পরিচালনায় সরকার গঠন করা অনিবার্য হয়ে ওঠে।

অবশেষে ১০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে গঠন হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের মাটিতেই শপথ নেয় ওই সরকার।   

সরকারের অন্য সদ্যরা হলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া খন্দকার মোশতাক, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন মজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য। প্রধান সেনাপতি নিয়োগ দেয়া হয় কর্নেল এম এ জি ওসমানকে। সরকারের শপথ গ্রহণের পর পরই শুরু হয় সংগঠিত যুদ্ধ।

জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, “এটা দিয়ে একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে অন্ততপক্ষে তুলে ধরা গেল যে, নির্যাতনের মুখে গঠিত হয়েছে একটি প্রবাসী সরকার এবং এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুমুক্ত করেছে বাংলাদেশকে। কাজেই এটা মূল ভিত্তি।”

দক্ষতার সাথে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়সহ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এই সরকার।

আবেদ খান আরও বলেন, “একদিকে ছাত্ররা সংগঠিত হয়েছে, একদিকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টরগুলো ভাগ হচ্ছে। যদি মুজিবনগর সরকার গঠিত না হত তাহলে ভিত্তিটা কি থাকতো। এই ভিত্তিটা পরিষ্কারভাবেই হচ্ছে একটা সাংগঠনিক কাঠামো। এই সাংগঠনিক কাঠামোটাই শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে একটা সংবিধান উপহার দিতে পেরেছে। কাজেই ওটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল এই সরকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরোলেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলায় নিরন্তর প্রেরণা মুজিবনগর সরকার।

বরগুনার আলো