• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অবদান ‘দুঃখজনক’: প্রধানমন্ত্রী

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতাকে ‘দুঃখজনক’ অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির গুরুত্বের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘তারা শুধু কথা বলে, কিন্তু কাজ করে না। অথচ তারাই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘এটা ধনী ও উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব। তাদেরই এই ইস্যুতে এগিয়ে আসা উচিৎ। কিন্তু, আমরা তাদের দিক থেকে সেই ধরনের কোন সাড়া পাচ্ছি না। এটাই দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি- ধনী দেশগুলো আরো ধনী হতে চায়। তারা অন্যদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সংযোজন করে এএফপি মন্তব্য করেছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ঘন জনবসতিপূর্ণ ডেলটা ও নিম্নাঞ্চলীয় বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।’

এএফপি আরো বলেছে, বাংলাদেশ পৃথিবীকে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী খুবই সামান্য পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিৎসরণ করে।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করে টিকে থাকার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করতে ২০২০ সাল নাগাদ বছরে ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার মতে, ওই বছর বেসরকারি মাধ্যমসহ ৮৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, নভেম্বরে মিশরে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনটি সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, তা হলো- ধনীদেশগুলোকে অভিযোজন ও প্রশমন ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির জন্যও অর্থ দিতে হবে কিনা।

এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই যে, তহবিলটি আরো বৃদ্ধি হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা উন্নত দেশগুলার কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি না।’

এএফপি জানিয়েছে যে, ধনী দেশগুলো ২০২৪ সাল পর্যন্ত শুধু ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে।

এ বছর ইউএনজিএ জলবায়ু সুবিচারের জন্য বারংবার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও ছোট্ট দেশ ভানুয়াতুর নেতা জীবাশ্ম জ্বালানীর বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যে ধরণের ভয়াবহ বন্যায় তার দেশের এক-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।

রোহিঙ্গা প্রশ্নে এএফপি মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশ পশ্চিমের যে নিষ্ক্রিয়তা দেখছে তাতে জলবায়ুই একমাত্র ইস্যু নয়, রোহিঙ্গা সংকট আরেকটি বড়ো সমস্যা কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখান থেকে ধনীদেশগুলোর মনোযোগ সরে গেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবেশী মিয়ানমারে ২০১৭ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্মম অভিযানের কারণে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, এ অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছিল।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাটি আরো বলেছে, সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা এর আগের ১ লাখসহ এসব শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও বর্তমানে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মনোযোগ সরে গেছে।

‘যতক্ষণ তারা আমাদের দেশে আছে, আমরা মনে করি, এটি আমাদের দায়িত্ব’ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতকার গ্রহণকারীকে বলেন, কিন্তু বাংলাদেশী আশ্রয়দাতাদের ধৈর্য ক্ষীণ হয়ে আসছে।

এএফপিও স্মরণ করেছে জাতিসংঘের তৎকালীন মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট এই বছরের আগস্টে এক সফরে মন্তব্য করেছিলেন যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিরোধী মনোভাব বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আমি বলব না যে তারা ক্ষুব্ধ, তবে তারা অস্বস্তি বোধ করছে। ‘সব বোঝাই আমাদের উপর এসে পড়ছে। এটাই সমস্যা’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের বেশির ভাগই মুসলিম, বাস করছে ত্রিপল, টিন ও বাঁশের তৈরি ছাউনি ঘরে।

ব্যাচেলেট তার সফরকালে বলেছিলেন, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেনাশাসিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কোনও সম্ভাবনা নেই, যেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।

কিন্তু সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আভাস দেন, ক্যাম্পে বসবাসের বাইরে রোহিঙ্গাদের অল্পকিছু বিকল্প আছে। তিনি বলেন, তাদের খোলা জায়গা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ তা তাদের নিজের দেশেই রয়েছে। তারা সেখানে ফিরে যেতে চায়। আর এটাই সবার মূল অগ্রাধিকার।

‘কেউ যদি তাদের নিতে চায়, তারা নিতে পারে’ এ কথাও যোগ করেন তিনি।

বরগুনার আলো