• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

অকুতোভয় মানসিকতাই যার দেশ গড়ার শক্তি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

গণভবনের ভেতরে অন্ধকার। প্রায় ১৫০ কর্মী গণভবনের ভেতরের পুকুর পরিষ্কার করা ছেড়ে এক জনকে ঘিরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। কথা বলার ফাঁকে এদের মধ্যে এক জন বলে উঠলেন, ‘মা, বিশ্বাস হচ্ছে না, আপনার সঙ্গে কথা বলছি।’ উত্তর যিনি দিলেন তিনি বললেন, বিশ্বাস না হওয়ার কী আছে! আমি শেখ হাসিনা।

তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত যারা তাদের বেষ্টনী ভেঙে মাঝে মাঝেই তিনি চলে আসেন মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বলেন, আমি সাধারণ মানুষের নেত্রী। আমাকে দূরের মানুষ করো না।’

মানুষের জন্যই প্রতিদিনের প্রতিটি ক্ষণকে কাজে লাগানোর পণ তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেন জাতির পিতার স্বপ্নকে সফল করার প্রত্যয়েই এগিয়ে চলেছেন। তাই দেশের সাধারণ মানুষ ভালোবেসে তাকে ডাকেন ‘শেখের বেটি’। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাঙালিয়ানার ধারক। সহজ নিরাভরণ জীবন যাপন করেন তিনি। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। দেশের প্রতিটি খাত নিয়ে তার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা মতো তিনি এগিয়ে চলেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি অত্যন্ত মানবিক ও আন্তরিক। রাষ্ট্র পরিচালনার মতো ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও তিনি প্রতিটি অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততার মধ্যেও শেখ হাসিনা সাহিত্য চর্চা ও সৃজনশীল লেখায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। প্রতি বছর বইমেলায় তার রচিত গ্রন্থ প্রায় নিয়মিতভাবেই প্রকাশিত হয়ে থাকে।

গণভবন সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয় তার। এরপরে কোরআন তেলাওয়াত করেন। ফজরের নামাজ শেষ করে চা-নাস্তা খাওয়ার পাশাপাশি সংবাদপত্র পড়েন। কখনো প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতা উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় তিনি দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কান্ডারি। এই অভিযাত্রায় তিনি বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসাস্থল। অথচ ব্যক্তি শেখ হাসিনা যেন খুব সাধারণ একজন মানুষ। সেই সঙ্গে তার সেই সাধারণ মানুষ হওয়াই যেন আমাদের কাছে তিনি আরো বেশি সম্মানের, শ্রদ্ধার মানুষ হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের আনাচেকানাচে থাকা নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাদের কথা দরদ নিয়ে শোনেন। অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী তিনি। কিছু্ ভোলেন না। আর কোনো সময় নষ্ট করেন না।

রাষ্ট্র পরিচালনার সীমাহীন ব্যস্ততার মধ্যেও প্রচুর বই পড়েন প্রধানমন্ত্রী। ভালোবাসেন কবিতা পড়তে। সমসাময়িক লেখকদের মধ্যে সেলিনা হোসেন, হরিশংকর জলদাস, আনিসুল হকের লেখা পড়েন। গান শোনেন। রবীন্দ্রসংগীত তার পছন্দ। পছন্দের গান ‘ধন ধান্যে পুষ্পেভরা’।

বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য কেন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন প্রয়োজন তারই ব্যাখ্যা দিলেন শহিদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা শেখ হাসিনা না থাকলে কখনোই সম্ভব হতো না। আমরা ২১ বছরের দুঃশাসন দেখেছি। দেখেছি দেশ কীভাবে তলিয়ে যাচ্ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশও আমরা দেখছি। জাতিসংঘে বারবার পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে, অভাব দূর হয়েছে। দক্ষ হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে চলেছেন। যদি তিনি দীর্ঘ সময় দেশ পরিচালনা করতে পারেন, যদি তিনি নেতৃত্বে থাকেন তবে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব। আমার একটাই চাওয়া আল্লাহতায়ালা শেখ হাসিনাকে যেন দীর্ঘ জীবন দান করেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বিএসএস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে কাজ করেছেন। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জীবনের ব্রতই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমরা এবারও দেখলাম জাতিসংঘে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে। এসডিজির যে অগ্রগতি তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এসব প্রাপ্তির মূল কারণ হচ্ছে, তিনি সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। শেখ হাসিনার ওপরে ২১ থেকে ২২ বার সরাসরি হামলা করা হয়েছে। একটি ভয়াবহ হামলার সময় আমি তার সঙ্গে ছিলাম। তখন দেখেছি তার অদম্য সাহস। অকুতোভয় মানসিকতা। গোলাগুলির মধ্যেও তিনি ভয় পাননি। বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। এই অকুতোভয় মানসিকতাই শেখ হাসিনার শক্তি।

বরগুনার আলো