• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে আইনি নোটিশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২  

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান ।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তার ভূ-খণ্ডে মিয়ানমারের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করছে। এদের প্রতিপালন করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বছর ১২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে; যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি অনুসরণ না করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে দাবি করে নোটিশে আরও বলা হয়, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য খরচ করা হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করলে কোনও নির্যাতিত জনগোষ্ঠীকে অন্য রাষ্ট্র আশ্রয় দিতে পারে।

এই কথা উল্লেখ করে নোটিশে আরও বলা হয়, ‘প্রথমত, যদি আশ্রয় দানকারী রাষ্ট্র ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকলের স্বাক্ষরিত রাষ্ট্র হয়, সেই ক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্র শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে আইনগতভাবে বাধ্য। দ্বিতীয়ত, কোনও নির্যাতিত জনগোষ্ঠী যখন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সেই জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। তৃতীয়ত, যদি একাধিক রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে শরণার্থী গ্রহণ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।’

‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই যে, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের ক্ষেত্রে উল্লেখিত আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি মানা হয়নি বলেও নোটিশে দাবি করা হয়। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ কোনোভাবেই এককভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারে না। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে এই রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে যে রাষ্ট্রগুলো আয়তনে বড় তাদের বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী নিতে হবে, এটাই আন্তর্জাতিক রীতি।

আইনি নোটিশে উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, ‘সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় লাখ লাখ সিরিয়ার শরণার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ করে। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শরণার্থী গ্রহণের জন্য কোটা নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে, ইউক্রেনের শরণার্থীরা ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এক্ষেত্রে একক কোনও দেশ এসব শরণার্থীদের বোঝা নেয়নি বরং সম্মিলিতভাবেভাবে নিয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতি অনুসরণ করে অবিলম্বে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সার্ক, বিমসটেক ও আসিয়ান রাষ্ট্রগুলোতে স্থানান্তর করতে হবে। এক্ষেত্রে আয়তনে বড় রাষ্ট্রগুলোকে অধিক সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী নিতে হবে। সর্বোপরি শেয়ারিংয়ের ভিত্তিতে এই রাষ্ট্রগুলোকে এই রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে হবে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের উপর এই রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব চাপানো যাবে না। তাই এ আইনি নোটিশপ্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে বের করে সার্ক, বিমসটেক ও আসিয়ান রাষ্ট্রগুলোতে শেয়ারিংয়ের ভিত্তিতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বরগুনার আলো