• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

আজ বিশ্ব ট্রমা দিবস

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২  

প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সব দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সব দিবস গুলোর মধ্যে একটি হলো বিশ্ব ট্রমা দিবস।

১৭ অক্টোবর, আজ বিশ্ব ট্রমা দিবস। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে, জরুরী পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানো এবং নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া এবং আঘাতজনিত আঘাতে ভুগছেন তাদের জন্য সময়মত চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবস পালন করা হয়।

ট্রমা বলতে বোঝায়, শরীরে বা মনে সৃষ্ট কোনো আঘাত। যেমন-পথ দুর্ঘটনা, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, হিংস্রতা, নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন। এরকম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের চিকিৎসা ও সেবায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যতো মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়, ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়।

তাই দুর্ঘটনার পর শারীরিক ট্রমা বা অন্য কোনো বড় ধাক্কায় মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হলে যত্ন নেয়া জরুরি। এসব চিন্তা করে প্রতিবছরের মতো এবারও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে।

ট্রমা কী?
চিকিৎসা জগতে ট্রমাকে শারীরিক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনো আঘাতজনিত সমস্যা মানসিক আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনা। আঘাতমূলক আঘাত সাধারণত হঠাৎ ঘটে। অনেক লোক আঘাতজনিত আঘাতের পরে বিকৃত হয়ে যায় এবং কারও জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে।

পরিসংখ্যান 
ট্রমাজনিত আঘাতগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বে ৪৫ বছরের কম বয়সী মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ । এর কারণে প্রতিবছর প্রায় ছয় মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ১০ শতাংশ। আঘাতজনিত আঘাতের কারণে মৃত্যু সাধারণত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং এইচআইভির কারণে হয়ে থাকে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

আঘাতজনিত আঘাতও অক্ষমতার একটি প্রধান কারণ। মস্তিষ্কের আঘাত প্রধান সমস্যা। আনুমানিক ৬৯ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর আঘাতমূলক মস্তিষ্কের শিকার হয়। যত তাড়াতাড়ি রোগের চিকিৎসা করা হবে ততই রোগীর জন্য মঙ্গল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আহতরা সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন না।

কেনিয়ার মতো কিছু দেশে গাড়ি দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। উন্নয়নশীল দেশে, অনেক হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মীও নেই। যদি এই সব প্রয়োজনগুলোকে সুরাহা করা যায়, তাহলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার ৫০ শতাংশ মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে।

কীভাবে বিশ্ব ট্রমা দিবস উদযাপন করবেন
বিশ্ব ট্রমা দিবসে, সারা বিশ্বে জরুরী কর্মীরা একটি আঘাতমূলক ইভেন্টের সময় অন্যদের কীভাবে সাহায্য করতে হয় সে সম্পর্কে অন্যদের শিক্ষিত করে। ভারতের মতো কিছু দেশ গুড সামারিটান আইন তৈরি করেছে, যাতে পথচারীরা আইনি ঝামেলার ভয় ছাড়াই সাহায্য করতে পারে।

বরগুনার আলো