• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মামলার তদন্ত পর্যায়ে গণমাধ্যমে পুলিশের বক্তব্য প্রচারে নীতিমালা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯  

মামলায় তদন্তের অগ্রগতি বা গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু প্রচার করা যাবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নির জামিন বিষয়ে আদেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

আদালত বলেন, ‘বর্তমান আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। মিন্নি দোষ স্বীকার করেছেন বলে বরগুনার এসপি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুধু অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, বরং ন্যায়-নীতি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থীও। পরিস্থিতি ও বাস্তবতা যাই হোক না কেন, কোনও পুলিশ সুপারের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য জনমনে নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।’

বরগুনার এসপির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। উচ্চপর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের কাজ কাম্য নয়। তিনি ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেবেন, আদালতের এটাই কাম্য। মামলাটির তদন্ত কাজ যেহেতু এখনও চলমান, সে কারণে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আদালত বিরত থাকছেন। তবে, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

আদালত বলেন, ‘প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা সঙ্গত হবে যে, ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে যে, সংঘটিত ঘটনা তদন্তের সময়ে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ও অভিযুক্তদের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন বা অভিযুক্তদের কোনও নিয়মনীতি ছাড়াই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। যদিও এ বিষয়ে আদালতের একটি রায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তবু অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত বিষয়ে অতি উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে দেখা যায়।’ আদালত আরও বলেন, ‘এ কথা আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ বলা যাবে না সে অপরাধী বা অপরাধ করেছে। তদন্ত বা বিচার পর্যায়ে এমনভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা উচিত নয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী। সে কারণে মামলার তদন্ত পর্যায়ে তদন্তের অগ্রগতি বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু বিষয় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা উচিত। এই নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হলো।’

এরপর মিন্নির জামিনের আদেশের অংশ পাঠ করে আদালত বলেন, ‘এজাহারে আসামির নাম উল্লেখ না থাকা, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ সময়ে স্থানীয় পুলিশ লাইন্সে আটক ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া, আদালতে হাজির করে রিমান্ড শুনানির সময়ে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ না পাওয়া, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট লিপিবদ্ধ করার আগেই আসামির দোষ স্বীকার সম্পর্কিত জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য, তদন্ত কর্মকর্তার মতে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে, এমন ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। সুতরাং আসামির মাধ্যমে তদন্ত প্রভাবিত (রিফাত হত্যা মামলা) করার কোনও সুযোগ না থাকার বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা তাকে (মিন্নিকে) জামিন দেওয়া ন্যায়সঙ্গত মনে করছি। একইসঙ্গে জারি করা রুলটি যথাযথ ঘোষণা করলাম। মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন।’ তবে, মিডিয়ার সামনে কোনও কথা বলতে পারবেন না বলেও আদালত নির্দেশনা দেন।

বরগুনার আলো