• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দাবি বুয়েটের ছয় শিক্ষার্থীর

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৪  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর বিপরীতেও রয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী, যারা ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে। রাজনীতির পক্ষের ছয় শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে বুয়েটের এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ছয় শিক্ষার্থী। তারা হলেন ক্যামিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল ও বিষ্ণুদত্ত চাঁদ।

সংবাদ সম্মেলন আশিকুল আলম বলেন, আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। আমরা আজ উপাচার্য স্যারের কাছে সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে লিখিত আবেদন করেছি। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নিরাপত্তার খাতিতে তাদের নামও আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি যেন এটি বন্ধ করা হয়।

বুয়েট ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে যখন খুন করা হয় এর আগে তাকে নিয়েও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং করা হয়েছিল উল্লেখ করে আশিক বলেন, এরপরও যখন উনি দমছিলেন না তারপর উনাকে নৃশংসভাবে আমাদের বুয়েট প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় আমাদের বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহাম্মেদ ভাইয়াকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। তাই আমরাও উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের থ্রেট এবং বুলিং করা হচ্ছে, তা আমরা নিতে পারছি না। আমাদের মারার মতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা আমাদের দিচ্ছে তাদের নামসহ আমরা ভিসি স্যারের কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছে। আমাদের পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবারের কাছে ফোন যাচ্ছে- আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন, নয়তো পরে পাবেন না। এই কথাগুলোর মানে কি! এই সবকিছুই করা হচ্ছে কারণ আমরা হিজবুত তাহরীর এবং শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি। বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপে আমাদের ছবি পাঠানো হচ্ছে, যার স্ক্রিনশটসহ সব আলামত আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি। সেসব গ্রুপে আমাদের জীবনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, গত বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের কেন বহিষ্কার করা হচ্ছে না। গ্রেফতার ওই শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য বলে দাবি করেন কেউ কেউ।

এ প্রসঙ্গে আশিক বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছিল তখন কোথাও হিজবুত তাহরীর, শিবির বা ছাত্রদলের নাম উল্লেখ ছিল না। শুধু ছিল ছাত্রলীগের ইমতিয়াজসহ আরও যারা সেখানে ছিল তাদের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন তারা শিবির বা হিজবুত তাহরীর নিয়ে কথা বলছে এটা কিন্তু ভাববার বিষয়। আমরাই প্রথম শিবির এবং হিজবুত তাহরীরের পয়েন্ট এনেছি।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছিল। কিন্তু এরও ছয় মাস আগে থেকে আমাদের মুজিব কর্নারের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ছেড়া অবস্থায় ছিল। সেটির দেওয়ালের দিকে তাকানোও যাচ্ছে না। পরে আমরা সেই জায়গাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম ডিএসডব্লিউ স্যারের কাছে। কিন্তু তিনিও আমাদের সেটি সংস্কারের অনুমতি দেওয়ার সাহস করেননি।

বরগুনার আলো