• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

পুলিশ খুনে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কিলার ভাড়া

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২০  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য শরীফ আহমেদকে হত্যায় ১০ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছিল। খুনের আগে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়াও হয়েছিল খুনিদের। পূর্ব শক্রতার কারণেই খুন করা হয় পুলিশের এই সদস্যকে।

খুনের পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে। নাম পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে পুলিশ। পরে আদালতে নির্দেশের এক সপ্তাহ পর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানতে পারে এটা নিখোঁজ পুলিশ সদস্য শরীফের মরদেহ।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত। তারা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন, মাসুদ মিয়া ও মনির হোসেন।

উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস, রক্তমাখা গাড়ির হুইল রেঞ্জ, একটি চাকু এবং ভিকটিমের তিনটি মোবাইল।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।

তিনি জানান, ৪ মার্চ সকালে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের চার নম্বর গেইটের সামনে থেকে অজ্ঞতনামা এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ায় ৮মার্চ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে চান্দনা কবরস্থানে দাফন করা হয়। ক্লুলেস এই হত্যার ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। ১২ মার্চ পিবিআই লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানতে পারে নিহত যুবক পুলিশ সদস্য শরীফ আহামেদ। হত্যা রহস্য উদঘাটনে শুরু হয় অভিযান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল এই ঘটনায় জড়িতরা গাজীপুরের শ্রীপুরে আত্মগোপনে আছে। এমন খবরে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত পুলিশ সদস্য শরীফের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালের ঝিলকি এলাকায়। তিনি ছয় মাস আগে জিএমপিতে যোগদেন। তার বাবা আলাউদ্দিন হোসেনও পুলিশের একজন সদস্য।

শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, তাকওয়া বাসের চালকের সঙ্গে নিহত পুলিশ সদস্যের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। ৩ মার্চ রাতে একটি বাসে গ্রেপ্তার মোফাজ্জল কৌশলে শরীফকে ভোগড়া বাইপাস এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায় বাসটির দরজা-জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাসে থাকা লোহার হুইল রেঞ্জ দিয়ে শরীফের মাথায় আঘাত করা হয় এবং মোফাজ্জল ও মাসুদ রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে গাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। পরে ভাড়াটে খুনি মাসুদ ধারালো চাকু দ্বারা গলাকেটে হত্যা করে। এ সময় শরীফের মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা জানাতে পারেনি র‌্যাব।

বরগুনার আলো