• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

বোনের সঙ্গে প্রেম করায় বন্ধুকে খুন, লাশ রাখেন সেপটিক ট্যাংকে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২  

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আব্দুস সামাদ (১৫) নামে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দুই ভাইসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার দাদরা এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই রোহান মিয়া (২৪), ওই উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯), পুঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)। 

বুধবার (৬ জুলাই) সকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. সফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশাচালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সেই সম্পর্কের সুবাদে সামাদ প্রায়ই রবিনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এতে এক সময় রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। বিষয়টি জানতে পেরে সামাদকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন রবিন। এরপরই সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রবিন ও তার ভাই রোহান।

তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যান রবিন, রোহান ও নাঈম। সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওৎ পেতে ছিল শাহীনসহ আরো দুইজন। সামাদকে সেখানে নেয়ার পর প্লাস্টিকের রশি ও জালের টুকরা গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখেন আসামিরা।

মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে সামাদকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে পা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনার পরের দিন নিহত সামাদের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে নামে জেলা ডিবি পুলিশ। অভিযানে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। 

 

বরগুনার আলো