• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

ইউনানি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে নকল ওষুধ, জটিল রোগের শঙ্কা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২২  

আটা, ময়দা, রং ও চিনির মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে নকল ওষুধ। পরে তা মিটফোর্ডকেন্দ্রিক মুনাফালোভী চক্র ওষুধ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গত এক বছরে গোয়েন্দা পুলিশের ১৯টি অভিযানে অসাধু এ চক্রটির প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতারের পর নকল ওষুধ তৈরির ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, নকল ওষুধ তৈরি হচ্ছে ৫০টিরও বেশি বৈধ আয়ুর্বেদিক কারখানায়।

কুমিল্লায় হিমালয় নামে একটি ইউনানি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে ওষুধ। আয়ুর্বেদিকের অনুমতি থাকলেও গোপনে তৈরি করা হচ্ছে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ। গোয়েন্দা পুলিশ কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে।

এর আগে চুয়াডাঙ্গার অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দারা সন্ধান পায় নকল ওষুধের কারখানার। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জুন-- এ ১০ মাসে মোট ১৯টি অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জনকে। এ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১৫টি। ৪০ ধরনের নামিদামি কোম্পানির কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কারখানায় তৈরি করা এসব ভেজাল ওষুধ প্রথমে আসে রাজধানীর মিটফোর্ডে। এখান থেকেই অসাধু চক্র কুরিয়ারের মাধ্যমে চালান পাঠিয়ে দেয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসি মালিকদের কাছে। অধিক মুনাফার আশায় জেনেশুনেই ফার্মেসি মালিকরা তা কিনে নিচ্ছেন।

হুবহু মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। মোড়ক দেখে ভোক্তাদের আসল নকল পরখ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবিভাগ) রাজীব আল মাসুদ বলেন, দেশের সবজেলায় ১০ থেকে ১৫টি কোম্পানি (ইউনানি) পেয়েছি, যারা এ ধরনরে ওষুধ তৈরি করে। অভিযানে তাদের কারখানা বা আস্তানা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আরও কিছু ইউনানি কোম্পানি সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ আছে, তাদের নাম দিয়েছি ওষুধ প্রশাসনকে।

এক বিশেষজ্ঞ জানান, এসব ভেজাল ওষুধে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রং ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল। ফলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এক কে লুৎফুল কবির বলেন, আমাদের মিটফোর্ডকেন্দ্রিক কাঁচামাল বেচাকেনা হয়। এই জায়গাটা বা এর উৎসকে বন্ধ করতে না পারলে এটা চলতেই থাকবে। বন্ধ হলে তাদের কাছে কাঁচামালটা আর যাবে না। যদি কেমিক্যাল মিশ্রিত জিনিস দিয়ে যদি ওষুধ বানানো হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হবে।

খোলাবাজারে ওষুধের কাঁচামাল বিক্রি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

বরগুনার আলো