• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

দেশে আসছে আমেরিকার লোকোমোটিভ, চলবে ১৩০ কিলোমিটার বেগে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২০  

৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার আওতায় গত কয়েক বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী শুধু রেলের আধুনিকায়নই হবে না, চলবে দ্রুতগতির ট্রেন। 

দেশের রেলখাতকে আরো গতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্রের রেলওয়ে রোলিংস্টক নির্মাতা প্রগ্রেস রেল লোকোমোটিভ ইনকর্পোরেশনের কাছ থেকে ৪০টি দ্রুতগতির ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) কিনেছে বাংলাদেশ। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি ইঞ্জিনগুলো কেনার জন্য প্রগ্রেস রেলের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব ইঞ্জিন বাংলাদেশে সরবরাহ করবে এ কোম্পানি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রতিটি ইঞ্জিনের দাম ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে ৪০টি ইঞ্জিনের দাম ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা বা ১৩৫ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার। আগামী বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশে ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করতে শুরু করবে প্রগ্রেস রেল লোকোমোটিভ ইনকর্পোরেশন।

যুক্তরাষ্ট্রের রেলওয়ে রোলিংস্টক নির্মাতা প্রগ্রেস রেল লোকোমোটিভ ইনকর্পোরেশন ইঞ্জিনগুলো বানাচ্ছে - সংগৃহীত

 

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৫টি ইঞ্জিন সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এসব দ্রুতগতির ব্রডগেজ ইঞ্জিন দেশে আনার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ৩ হাজার ২৫০ বিএইচপি হর্সপাওয়ারের এসব ইঞ্জিন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। প্রতিটি ইঞ্জিনের এক্সেল লোড ১৮ দশমিক ৮ টন। মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোল সিস্টেমের এসব ইঞ্জিন এসি-এসি পাওয়ার ট্রান্সমিশনে চলবে।

চলতি বছরের শুরুতে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও প্রতিনিধি দল লোকোমোটিভ তৈরির কারখানাসহ ক্রয় প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি ও সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামসুজ্জামান, এডিজি (অপারেশনস) মিয়া জাহান ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব আতিকুর রহমান।

 

প্রথম ধাপে ৫টি ইঞ্জিন সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি তাই দেশে আনার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে - সংগৃহীত

 

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলওয়েকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। মানুষকে রেলের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়ার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। এসব দ্রুতগতির ইঞ্জিন দেশের রেল বহরে যুক্ত হলে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বেশি করে রাজস্ব আদায় করা যাবে। 

ইঞ্জিন সংকট ও নতুন করে কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও সাধারণ মানুষের আস্থার বাহন হিসেবে গড়ে তুলতে ইঞ্জিন বাড়ানোর জন্য গত দুই বছরে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি, রেলের ইঞ্জিন সংকটের সমাধান করা যাবে। পাশাপাশি রেলওয়ে যেন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে আরো অবদান রাখতে পারে, সেদিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, রেলের উন্নয়নে এখন ৪৮টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি প্রকল্প রেললাইন স্থাপন, সংস্কার, নতুন লাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত। বাকি পাঁচ প্রকল্পে ইঞ্জিন কেনাসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ অন্তর্ভুক্ত। এর একটি হলো ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ক্রয়।

 

ইঞ্জিনগুলো দেশে এসে পৌঁছালে রেলওয়ের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে - সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম বলেন, রেলওয়ে নিয়ে সরকারের যে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) তা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় ৪০টি ইঞ্জিন দেশে এসে পৌঁছালে রেলওয়ের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা রাখছি।

রেল কর্তৃপক্ষের মতে, একটি ইঞ্জিনের ইকোনমিক লাইফ বা কার্যক্ষমতা থাকে ২০ বছর। ১৯৭৩ সালে কার্যক্ষমতা চলে গেলেও বেশিরভাগ ইঞ্জিন চলছে ৪৬ বছর ধরে। কেবল বি-১২ মডেলের ইঞ্জিন নয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে বহরে মোট ২৭৩টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১৯৫টি ইঞ্জিন এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। মাত্র ৭৮টি ইঞ্জিনের মেয়াদ আছে। এতে চলন্ত অবস্থায় প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে ইঞ্জিনগুলো। এছাড়া ইঞ্জিন পুরনো হওয়ায় নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। ফলে ক্রমাগত সিডিউল বিপর্যয় ঘটায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যেকোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বরগুনার আলো