চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান
বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। রফতানি যৎসামান্য হলেও দেশে মোট পণ্য আমদানির ২৬ শতাংশই হয় চীন থেকে। তবে জোট হিসেবে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসভুক্ত (আসিয়ান) দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের আকার এখন ক্রমেই বড় হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট আমদানি বাণিজ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের এ জোটের অবদান ১৬ শতাংশের বেশি। রফতানি আয়ের উৎস হিসেবে দেশগুলো এখনো তেমন একটা অবদান রাখতে না পারলেও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে সামনের দিনগুলোয় তা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এর মধ্যে মূলত পাঁচ দেশের সঙ্গে (ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড) উল্লেখযোগ্য হারে বাণিজ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এর বাইরে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে তা এখন একপ্রকার বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো থেকে মোট ১ হাজার ১৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে দেশগুলোয় পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৭৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ হিসেবে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১ হাজার ২১১ কোটি ৮ লাখ ডলার। আমদানি ও রফতানি বাবদ প্রাপ্ত আয়ের পরিসংখ্যান বিবেচনায় একক দেশ হিসেবে বর্তমানে এর চেয়ে বেশি বাণিজ্য হচ্ছে কেবল চীনের সঙ্গে।
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৮২ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। আর পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ৬৮ কোটি ডলার। চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক চুল্লি, প্রকৌশল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, তুলা, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, সাউন্ড রেকর্ডার ও রিপ্রডিউসার, বোনা কাপড়, কৃত্রিম তন্তু ইত্যাদি। দেশটিতে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওভেন পোশাক, নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে আসিয়ানভুক্ত কয়েকটি দেশ বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আয়তনে বৃহৎ এ অঞ্চলটি বাজার হিসেবেও বিশাল। ফলে দ্য রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের (আরসিইপি) মাধ্যমে বড় একটি অর্থনৈতিক পাওয়ার ব্লক হিসেবে উত্থান ঘটেছে আসিয়ানের। সেদিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জোটটির বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আন্তঃযোগাযোগ এখনো তেমন শক্তিশালী না। বর্তমানে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) মাধ্যমে আসিয়ানের দুটি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনা চলছে। জোটটি আয়োজিত পরবর্তী সম্মেলনে এর স্বাক্ষর হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই বাজারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটা ঠিক যে মিয়ানমারের বর্তমান ভূরাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগগুলোকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মধ্যমেয়াদিভাবে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে আসিয়ানের একটা বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। বিমসটেক এফটিএর মাধ্যমে যদি একটা ফুটপ্রিন্ট আমরা আসিয়ান মার্কেটে পাই—কারণ বিমসটেকের দুটি দেশ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার আসিয়ানেরও সদস্য—তাহলে আসিয়ান এফটিএ ও আরসিইপির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে পারব। এতে করে যদি আমরা যোগাযোগ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে সংশ্লেষ করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ শুধু আসিয়ান থেকে আমদানিই করবে না, ওই মার্কেটে রফতানিরও একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এটা আরো প্রয়োজন, কারণ আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হচ্ছে। ফলে পণ্য ও বাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। সেদিক থেকেও এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আসিয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মূলত আমদানিনির্ভর। দেশগুলো থেকে বেশি আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল। যেমন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশ মূলত ভোজ্যতেল আমদানি করে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। আবার সিঙ্গাপুর থেকে খনিজ পণ্য আমদানি করলেও বাংলাদেশ থেকে খুবই সামান্য পরিমাণে তৈরি পোশাক যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশে রফতানি করে। এসব দেশের মধ্যে আছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এসব দেশ থেকে বেশি আনা হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা শিল্পের কাঁচামাল। আমরা যদি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে চিন্তা করি তাহলে অনেক বেশি বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব হারানোর বিষয় রয়েছে। আবার যদি শুধু পোশাক পণ্যের ওপর নির্ভর করে দেশগুলোয় রফতানি বাড়াতে চাই তাহলেও আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। আসিয়ান দেশগুলোয় রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে অবশ্যই পণ্য বৈচিত্র্যকরণ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পোশাকনির্ভর হলে হবে না। কারণ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় পোশাক পণ্যে সুরক্ষা দেয়া আছে। আবার পোশাকের জন্য সিঙ্গাপুরের বাজার তেমন বড় নয়। চীন নিজেই পোশাকের বড় সরবরাহকারী। তাই তারা আমদানি তেমন করবে না। ফলে আসিয়ানের বাজারে রফতানির জন্য পোশাকবহির্ভূত পণ্য নিয়ে মনোযোগী হতে হবে।’
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেননা দেশগুলো থেকে সহজেই জ্বালানি আমদানির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আসিয়ানে জোটবদ্ধ হতে পারলে কৃষি, ওষুধসহ নানা খাতের পণ্য রফতানিই সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আসিয়ান অনেক পাওয়ারফুল ও ইফেকটিভ গ্রুপ। ১০টি দেশ এর সদস্য, এখন ১১টি হতে যাচ্ছে। এটা অনেক বড় বাজার। বাণিজ্য বিবেচনায় নিলে দেশগুলো ফেভারেবল। যেমন আমরা যদি প্লেন মেরামতের কাজ পশ্চিম ইউরোপে না করে ইন্দোনেশিয়ায় করি তাহলে সাশ্রয়ী দামে করতে পারব। এ জোটের সদস্য হতে পারলে তাদের সনদ ব্যবহার করে যেকোনো আসিয়ানভুক্ত দেশে বাংলাদেশ থেকে নার্স যেতে পারবে। আমরা এদের ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা মোটামুটি সবাই রাজি। আমাদের অবস্থানটি ভূরাজনৈতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুরো দক্ষিণ-পূর্বের মধ্যে রয়েছি আমরা।’
আসিয়ানের সদস্য হতে কোন ধরনের বাধা রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আসিয়ান সচিবালয়ে এ বিষয়ে আগে এজেন্ডা রাখতে হয়। সর্বশেষ সদস্যভুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো সম্পন্ন হয়নি। আগেভাগে বলা উচিত ছিল। তবে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীতে সদস্য হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।’
বরগুনার আলো- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাদা পোশাক ঘেমে হলদেটে হয়ে গেলে কী করবেন?
- বানিয়ে ফেলুন ৪ স্বাদের লাচ্ছি
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আইফোন ১৬-তে যেসব নতুন ফিচার থাকছে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- বরিশালে বেহুন্দি জালসহ ২ জেলে আটক
- উজিরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে
- তৃতীয় বিয়ে করছেন শাকিব, এর মাঝেই আইনি ব্যবস্থার কথা বললেন বুবলী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
- উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির
- প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
- এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
- সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
- ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- প্রতিভা বিকাশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না : টুকু
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে