• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

বছরে ৩ বিলিয়ন ডলারের ‘ফেন্সি পোশাক’ রফতানি করে বাংলাদেশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২০  

সাধারণ পোশাকের পাশাপাশি দামি উন্নতমানের ফেন্সি পোশাকও রফতানি করছে বাংলাদেশ। অনেকেই বাংলাদেশের ফেন্সি পোশাক পণ্যকে নতুন এক সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। ক্রেতাদের এই পণ্যের প্রতি চাহিদাও বাড়ছে। তবে আগে সস্তা কিছু পণ্য তৈরি ও রফতানি হলেও এখন আস্তে আস্তে যোগ হচ্ছে দামি ও মনিহারি পণ্য (ফেন্সি আইটেম)। অধিকাংশ গার্মেন্ট কারখানাই এখন মনিহারি পণ্য পোশাক তৈরি করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফেন্সি আইটেম পোশাকের চাহিদা বাড়লেও স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল না পাওয়ার কারণে এসব দামি পণ্য খুব বেশি তৈরি করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দামি আইটেমগুলো করতে হলে লিড টাইম (উৎপাদন থেকে ক্রেতার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত) হতে হবে কম। কিন্তু আমাদের লিড টাইম বেশি হওয়াতে এসব দামি পণ্য রফতানি বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে ফেন্সি পোশাক রফতানি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমাদের লিড টাইম কমিয়ে আনতে হলে আমাদের আরও ব্যাকওয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রি লাগবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানি আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফেন্সি আইটেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বেসিক টি-শার্টের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফেন্সি আইটেমের কাজ করছে। মেয়েদের পোশাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা, প্রিন্টেড টপস এগুলো এখন প্রচলন হয়ে গেছে। আরও নতুন যোগ হয়েছে সদ্যোজাত শিশুদের পোশাক। তবে দেশের গার্মেন্ট মালিকরা বছরে কী পরিমাণ এই ফেন্সি পোশাক তৈরি করছেন তার কোনও পরিসংখ্যান নেই। আবার রফতানির জন্য এইচএস কোড আলাদা না থাকায় কী পরিমাণ ফেন্সি পোশাক রফতানি হচ্ছে তারও সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে বছরে মোট রফতানির অন্তত ১০ শতাংশ হচ্ছে ফেন্সি আইটেমের পোশাক। এই হিসেবে গত অর্থবছরে অন্তত তিন বিলিয়ন ডলারের ফেন্সি পোশাক রফতানি হয়েছে।

তৈরি পোশাক মালিকরা বলছেন, ফেন্সি আইটেমের ক্রেতা সারা দুনিয়াতেই আছে। তবে জাপানে এই ধরনের পোশাক বেশি রফতানি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মোট রফতানির অন্তত ১০ শতাংশই ফেন্সি আইটেমের পোশাক রফতানি হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমি আমেরিকার এক ক্রেতার জন্য সারা বছরই লেডিস আইটেমের ফেন্সি পোশাক তৈরি করি। তার মতে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন রফতানি হয়েছে ফেন্সি আইটেমের পোশাক। তিনি জানান, জাপানে ফেন্সি আইটেম পোশাকের চাহিদা বেশি। ইউরোপ-আমেরিকায় বেশি চলে। ফেন্সি আইটেমের পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড আলাদা না থাকায় কী পরিমাণ এই পোশাক রফতানি হচ্ছে তা বের করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসেবে নতুন অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৩৯১ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক লক্ষ্যের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। জুলাই মাসে শুধু তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৩২৪ কোটি ডলারের।

উন্নত বিশ্ব এখন ফেন্সি আর উচ্চমূল্য সম্পন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। বিশেষ করে চায়না আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। ভিন্নতার দিক থেকে সবার ওপরে তারা।

পণ্যের ভেরিয়েশনের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য  তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক ড. জায়েদ বখত। তিনি বলেন, পণ্যের ভেরিয়েশনের দিকে মনোযোগ দেওয়া ছাড়াও নতুন অভিজ্ঞতা পণ্য তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুশের্দী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে টিকে থাকার প্রয়োজনেই আমাদেরকে দামি উন্নতমানের ফেন্সি আইটেমগুলো তৈরি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের রুচির সঙ্গে মানুষের আর্থিক উন্নতি হয়েছে। যে কারণে ফেন্সি আইটেমগুলোর চাহিদাও বেড়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা কঠিন কঠিন প্রোডাক্টও তৈরি করছে। দামি দামি মেশিনও নিয়ে এসেছে। তবে ডিজাইনে আরও ভালো করতে হবে। তার মতে, এখনও দামি টপ তৈরিতে চায়না এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে জোর কদমে।

জানা গেছে, ক্রেতারা সংখ্যার দিক থেকে ফেন্সি পোশাক কম নেয়। তবে দাম দেয় বেশি। বিভিন্ন দেশের বড় বড় ক্রেতা লাখ লাখ পিস শার্ট বা প্যান্ট নেন। কিন্তু ফেন্সি পোশাক নেন সংখ্যায় খুবই কম। অনেক সময় ৫০ হাজার পিসও ফেন্সি পোশাক রফতানি করেন তৈরি পোশাক মালিকরা।

উদ্যোক্তারা বলছেন, সাধারণ পোশাকের চেয়ে ফেন্সি আইটেমগুলো একটু ভিন্ন হয়। কাজ বেশি থাকে। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের পাথর ও অর্নামেন্ট বসাতে হয়।

তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, মহামারি করোনার মধ্যেও আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে প্রচুর রফতানি কাজ আসছে।  বিশেষত জাপানে ফেন্সি পোশাক রফতানির নতুন দিগন্ত তৈরি হতে যাচ্ছে।

উচ্চমূল্যের নিট পোশাক বিশেষত সোয়েটার, ডেনিম অর্থাৎ জিনস পোশাক, সদ্যোজাত শিশুদের পোশাক এখন সম্ভাবনাময় খাত। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বড় সব ক্রেতা-প্রতিষ্ঠানের কাজ পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। মানসম্পন্ন কাপড় ও পোশাক তৈরির ফলে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে শিল্প মালিকেরা জানান।

বরগুনার আলো