নোট-গাইডের বিকল্প খুঁজছে সরকার
শিক্ষার্থীদের প্রতি নোট ও গাইড বই ব্যবহার না করার নির্দেশ থাকলেও এটি বন্ধ হচ্ছে না। বরং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক চাহিদা থাকায় নোট ও গাইড-নির্ভরতা কমানো যায়নি বিগত কয়েক বছরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘অ্যাকটিভ লার্নিং’ না থাকায় নোট ও গাইডের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নোট ও গাইডের কবল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা যায়, তার বিকল্প খুঁজছে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা নোট ও গাইডের বিকল্প খুঁজছি। নোট বই ও গাইড ছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে, সেই কৌশলটি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।’
বাজার থেকে নোট ও গাইড বই পুরোপুরি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে সে রকম কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, কেন নোট ও গাইড বই চলছে, কেন তা বাজারে আছে।’ তিনি বলেন, ‘নোট ও গাইড নিয়ে অভিযোগ আছে। এত নির্দেশনার পরও কেন তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, বিকল্প কিছু করার সুযোগ আছে কিনা, আমরা তা যাচাই করার চেষ্টা করছি।’
নোট ও গাইড বই বাজার থেকে তুলে দিলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান কমে যাবে কিনা এবং ফল বিপর্যয় হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলতে চাই না। ভালো কিছু করতে চাই।’
তবে নোট ও গাইড বইয়ের লেখক ও প্রকাশকরা বলছেন— নোট বই বলে এখন আর কিছু নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার পর থেকে বাজারে চলছে শিক্ষা সহায়ক বই। ক্লাসে ‘অ্যাকটিভ লার্নিং’ অপর্যাপ্ত এবং পাঠ্যবই কঠিন হওয়ায় শিক্ষা সহায়ক বই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ায় উন্নতি করছে।
অন্যদিকে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ক্লাসে নোট ও গাইড বই না পড়াতে প্রতিবছর নির্দেশনা জারি করে আসছে। প্রতিবছরেই অভিযোগ ওঠে যে, এসব নোট ও গাইড ক্লাসে পড়ানো না হলেও শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করা হয়। এই কারণেই এনসিটিবি পাঠ্যবই বিতরণের আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশনা দেয়।
চলতি বছর নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর গত ২০ জানুয়ারি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কারিকুলামের বাইরে শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত বই কেনা বা নোট বই পড়তে ও কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে— যা বিধি পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ তবে নোট ও গাইড বই বাজারজাত না করার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি আদেশে। শিক্ষার্থীদের কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান বলেন, ‘নোট ও গাইড না থাকলেই ভালো। তবে রাতরাতি উঠিয়ে দিলে সমস্যা হবে। বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মান যাচাই না করেই টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নোট ও গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার কারণে ঠিক মতো ক্লাস হয় না। তখন শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় নোট ও গাইডের ওপর। এটা দীর্ঘদিনের কালচার। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত, শিক্ষার মানও জড়িত। অনেকগুলো মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটা হঠাৎ করে তুলে ফেললে, বিরূপ প্রভাব পড়বে। ধীরে ধীরে তুলে দিতে হবে।’
জানতে চাইলে লেকচার পাবলিকেশন্সের মালিক এম. শরিফুল আলম বলেন, ‘সৃজনশীল পদ্ধতি আসায় নোট ও গাইড বলে কিছু নেই। বাজারে যা রয়েছে এগুলো শিক্ষাসহায়ক বই। পাঠ্যবইয়ের সহায়ক হিসেবে বইগুলো কাজ করে। ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, লন্ডন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষা সহায়ক বই রয়েছে। উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে মেধাবীদের দিয়ে বইগুলো মূদ্রণ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাঠক্রম পরিবর্তন করে সৃজনশীল পদ্ধতি আনা হয়েছে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকরা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত নন। ফলে সহায়ক বই করা হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তার জন্য। ক্লাসে যা শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীরা আয়ত্তে আনতে না পারলে বা ভুলে গেলে, শিক্ষা সহায়ক বইয়ের মাধ্যমে সে উপকৃত হবে।’
বরগুনার আলো- গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
- এই গরমে চুল পড়া বন্ধ করতে
- আম মুরগির ঝোল
- কমলো পেঁয়াজের দাম
- জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন
- মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের
- রেকর্ড সংখ্যক হাজির সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি
- তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মুরগি, কমেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- এবার স্মার্টওয়াচেই পাবেন এআই ফিচার
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্রামে শাহরুখ, ফিরবেন কবে?
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস
- উজিরপুরে সরকারী তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- নগরীর শেরে বাংলা সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- প্রবাসে এনআইডি করতে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে রঙিন ছবি
- লবণ-চিনি মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন বানাচ্ছিলেন তারা
- ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেন তারা
- অশোক রায় নন্দীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর
- শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে
- অর্থমন্ত্রী আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি
- কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে জঙ্গি হামলা, নিহত ১
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- সিনেমা হল ভেঙে হচ্ছে মাদরাসা
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- ছয় খাতে বাণিজ্য চায় কোরিয়া